এএসপি আনিসুল করিম হত্যা: গাজীপুরের বাসায় ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি

রাজধানিতে হাসপাতাল কর্মচারীদের মারধরে নিহত পুলিশের সিনিয়র এএসপি আনিসুল করিম শিপনের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে আজ শুক্রবার পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমানসহ বিভিন্ন কর্মকর্তারা নিহতের গাজীপুর শহরের বরুদা এলাকার বাসায় যান।

তিনি নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন ও খোঁজ খবর নেন এবং শান্তনা দেন। পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার সময় নিহতের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফাইজুদ্দিন আহমেদ, স্ত্রী শারমিন সুলতানা, ভাই রেজাউল করিম সবুজ, বড় বোন শামসুন্নাহার সুমনা ও ডা. উম্মে সালমা সাথী, ছেলে সাফরানসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিআইজি বলেন, নিহত এএসপি শিপনের স্ত্রীকে একটি সম্মানজনক পেশায় যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির, ঢাকা রেঞ্জের এডিশনাল ডিআইজি মো: আসাদুজ্জামান, বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলম, নরসিংদীর পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক মোজাম্মেল হক, গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ কে এম জহিরুল ইসলাম, মোহাম্মদ রাসেল শেখ, আমীনুল ইসলামসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের পক্ষ নিহতের ছেলে সাফরানকে উপহার সামগ্রি প্রদান করা হয়। পরে ডিআইজিসহ বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কেন্দ্রীয় কবরস্থানে যান। সেখানে তারা আনিসুলের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং কবর জিয়ারত ও দোয়া করেন।

প্রসঙ্গত, পুলিশের সিনিয়র এএসপি আনিসুল করিম শিপন বরিশাল মহানগর পুলিশে (বিএমপি) সহকারি পুলিশ কমিশনার পদে কর্মরত ছিলেন। গত সোমবার তাকে চিকিৎসার জন্য রাজধানীর আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে হাসপাতালের কর্মচারীদের নির্যাতনে তিনি নিহত হন।