স্কুল শিক্ষকের বাড়ীতে কলস ভর্তি রুপা’র মুদ্রা

বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রংপুর বিভাগের প্রশাসনিক অঞ্চল ঠাকুরগাঁওয়ে এক স্কুলশিক্ষকের বাড়ি সংস্কার করতে গিয়ে মাটির নিচ থেকে ১৪৩টি প্রাচীন মুদ্রা পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি।

সোমবার (১৫ মার্চ) রাত ১১ টায় সদর উপজেলার রাজাগাঁও ইউনিয়নের রাজারামপুর গ্রামের মৃত শান্ত কুমার বর্মণের ছেলে স্কুলশিক্ষক কেশব চন্দ্র’র বাড়ি থেকে ওসি চিত্ত রঞ্জন রায়ের নেতৃত্বে এসআই মনির হোসেন ও তার সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনা স্থলে গিয়ে ধাতব পাত্রটি উদ্ধার করেন।

জানা যায়, বলরাম পুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কেশব চন্দ্র নিজ বাড়িতে শনিবারে (১৩ মার্চ) সকালে সেফটি ট্যাংক স্থাপনের জন্য মাটি খনন করছিলো। এক পর্যায়ে শ্রমিক মহেন্দ্র চন্দ্র বর্মণ খননকালে মাটির ভিতরে একটি ধাতব পাত্র (কাশার কলস) ভর্তি রুপা মুদ্রা দেখতে পেয়ে বাড়ির মালিক কেশব চন্দ্র বর্মণকে দিয়ে দেন। ধাতব পাত্র পাওয়ার বিষয়টি এক পর্যায়ে ফাঁস হয়ে যায়। ঘটনার ৩দিন পর এলাকায় গুঞ্জন ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এলাকার শত শত নারী-পুরুষ কলস ভর্তি রুপার মুদ্রা এক পলক দেখার জন্য বাড়িতে ভিড় জমায়।

শ্রমিক মহেন্দ্র বলেন, মাটি খননকালে কাশার কলস ভর্তি রুপার মুদ্রা পাই। পরে আমি বাড়ির মালিকের হাতে তুলে দিই। তবে মালিক আমাকে বলেছেন মুদ্রা পাওয়ার বিষয়টি যাতে কেউ না জানে। মুদ্রা পাওয়ার ব্যাপারে স্কুলশিক্ষক কেশব চন্দ্রের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে পাওয়া যায়নি।

এলাকাবাসী ও বলছে, মাটির ভিতর থেকে উদ্ধারকৃত পাত্রটি ভর্তি ছিলো যার ওজন আনুমানিক ৫ থেকে ৬ কেজি। অন্যদিকে পুলিশ বলেছে পাত্রে শুধু ১৪৩টি মুদ্রা ছিলো।

এ ব্যাপারে জানতে ওসি চিত্ত রঞ্জন রায়ের কাছে ফোন করলে তিনি বলেন, ‘আমি বাইরে আছি। এখন কথা বলতে পারবো না।’