ফতুল্লার জামাইবাজারে ভবনে বিস্ফোরণ, শিশুসহ ১১ জন দগ্ধ

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় তল্লার বিস্ফোরিত সেই মসজিদের পাশে ওই ঘটনার সাড়ে সাত মাস পর মসজিদটির পাশেই আরেকটি ভবনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটলো। গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে একটি তিনতলা ভবনের দেয়ালসহ উড়ে গেছে আসবাবপত্র। বিস্ফোরণের বিকট শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকাবাসীর মধ্যে।

আজ শুক্রবার ভোর ছয়টার দিকে ফতুল্লার তল্লার জামাইবাজার এলাকার ওই ভবনে এই বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে শিশুসহ ১১ জন দগ্ধ হয়েছেন। বাড়ির গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে তারা দগ্ধ হন। তাদের নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ও ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, ‘তল্লা মসজিদের বিস্ফোরণে ৩৪ জন মুসল্লি নিহত হওয়ার ঘটনাস্থলের কিছু দূরে মফিজুলের বাড়ির তৃতীয় তলায় গার্মেন্টস শ্রমিক ২টি পরিবার বসবাস করতেন। রাতে একটি পরিবারের লোকজন চুলার বার্নার বন্ধ না করেই ঘুমিয়ে পড়েন। এতে চুলা থেকে গ্যাস বের হয়ে রান্নাঘরসহ অন্যান্য ঘরে ছড়িয়ে জমাট বেঁধে থাকে। ভোরে রান্নার জন্য চুলায় আগুন জ্বালাতেই গ্যাসের বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় কয়েকটি দেয়াল উড়ে যায়।’

দগ্ধরা হলেন- হাবিবুর রহমান (৫৬), তার স্ত্রী আলেয়া বেগম (৪২), তাদের ছেলে লিমন (২০) ও মেয়ে সাথী (২৫); মিম আক্তার (২২) ও তার তিন মাসের শিশুপুত্র ফাহাদ; নিরাহার (৫৫) ও তার স্ত্রী শান্তা বেগম (৪০), তাদের ছেলে সামিউল (২৬) ও তার স্ত্রী মনোয়ারা আক্তার (১৬)। দগবধ আরেকজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

এদের মধ্যে ৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।