কুষ্টিয়ায় আ’ লীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা বিভাগের প্রশাসনিক অঞ্চল কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) গত নির্বাচন নিয়ে চলমান বিরোধের জের ধরে শিপন আলী (২৮) নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামিউর রহমান সুমনের বিরুদ্ধে।

আজ রোববার (২৩ মে) সকালে কুমারখালী থানা পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

নিহত শিপন আলী পান্টি ইউনিয়নের পিতম্বরবরশি গ্রামের আলতাফ শেখের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পর থেকেই কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহিদ হোসেন জাফর এবং পান্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামিউর রহমান সুমনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে বেশ কয়েকবার হামলা, গুলির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২২ মে) দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে শিপন স্থানীয় গোদের বাজারে নিজের ডেকোরেটরের দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

পান্টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের ভোটের সময় থেকেই এলাকায় আওয়ামী লীগের দু’টি গ্রুপের মধ্যে বিরোধ লেগে আছে। এরই জের ধরে সুমনের লোকজন জাফরের সমর্থক শিপনকে ডেকে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছেন বলে শোনা যাচ্ছে।

নিহতের বাবা আলতাফ হোসেনের অভিযোগ, পান্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামিউর রহমান সুমনের নেতৃত্বে মৃত আকবরের ছেলে কবির, কালাইয়ের ছেলে মিজান, বাবলু মাস্টার, ময়েনসহ অনেকে কবিরের বাড়ির সামনে রাস্তার পাশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিপনের বুকে আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই শিপন মারা যান।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পান্টি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে দুই গ্রুপের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে আসছিল। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এরই জেরে এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটতে পারে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।