প্রকল্পের ২৫ লাখ টাকা বেঁচে যাওয়ায় সরকারি কোষাগারে ফেরত দিলেন ইউএনও

মুজিববর্ষ উপলক্ষে সরকার দেশের ভূমি ও গৃহহীনদের জায়গা ও আধাপাকা বাড়ি করার সিদ্ধান্ত নেন এবং বাস্তবায়ন করেন। এসব বাড়ি নির্মাণের অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয় প্রশাসনের হাতে। বরাদ্দের ২৫ লাখ টাকা বেঁচে যাওয়ায় সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছেন রংপুরের বদরগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেহেদী হাসান।

সারাদেশের মত রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলায়ও ২৯৬ জন ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে ২৯৬টি বাড়ি (প্রত্যেক বাড়ি দুই শতক জমির ওপর) বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রথম পর্যায়ে প্রত্যেক বাড়ি নির্মাণে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয়ে ২৮৬টি বাড়ির বরাদ্দ পান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। দ্বিতীয় পর্যায়ে একেকটি বাড়ি নির্মাণে এক লাখ ৯১ হাজার টাকা ব্যয়ে আরও ১০টি বাড়ি নির্মাণে অর্থ বরাদ্দ পান।

এছাড়াও জায়গা আছে ঘর নেই-এমন ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীদের জন্য ৩০টি বাড়ি এবং ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত ৮ পরিবারের ৮টি বাড়ি নির্মাণে বরাদ্দ পান। এসব বাড়ি একলাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণের বরাদ্দ পেলেও কম খরচে পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই শতক জায়গার ওপর স্বাস্থ্য সম্মত টয়লেট, থাকার দুইটি ঘর, রান্না ঘর ও আসবাবপত্র রাখার ঘরসহ বারান্দা করে দেন তিনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী বরাদ্দকৃত বাড়ি নির্মাণের পর ২৫ লাখ টাকা বেঁচে যায়। ওই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করেন তিনি।

এ ব্যাপারে ইউএনও মো. মেহেদী হাসান বলেন, আমার নেতৃত্বে বাড়ি নির্মাণে পাঁচ সদস্যের কমিটি ছিল। আমি কাজ শুরু করার আগে কমিটির সদস্যদের নিয়ে বসেছিলাম। ওইদিন সদস্যদের বলেছিলাম যদি বাড়ি নির্মাণ করে টাকা বেঁচে যায়, তাহলে বেঁচে যাওয়া টাকা সরকারকে ফেরত দিব। তারা আমার সঙ্গে একমত ছিলেন। সরকারের কোষাগারে টাকা ফেরত দিয়ে নিজেকে খুব ভালো লাগছে।’

ইউএনও’র কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মো. মেহেদী হাসান ২০২০ সালের ৩১ মে কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলা থেকে বদলী হয়ে বদরগঞ্জ উপজেলায় ইউএনও হিসেবে যোগদান করেন। তার বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলায়। তিনি সম্প্রতি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন। আগামী ৩০ জুন তার শেষ কর্মদিবস বদরগঞ্জ উপজেলায়। এরপর তিনি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে দিনাজপুর জেলায় যোগদান করবেন।