বরের বাড়িতে প্রীতিভোজে প্রশাসনের হানা, না খেয়েই অতিথিদের বিদায়

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিরোধে কঠোর লকডাউন চলাকালে বিয়ে এবং প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয় বরের বাড়িতে। অতিথি ছিলেন কনে বাড়ির লোকজনসহ শতাধিক মানুষ। আজ সোমবার বরের বাড়িতে সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে খাবার রান্নার কাজ। দুপুর ২টার দিকে ওই খাবার পরিবেশনের কথা ছিল অতিথিদের।

সোমবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামের আবদুল লতিফ খলিফার বাড়িতে। বিয়ে এবং প্রীতিভোজ আয়োজনের খবর পেয়ে দুপুর দেড়টার দিকে ঘটনাস্থলে হাজির হন সহকারী কমিশনার ভূমি (এসি ল্যান্ড) মেহের নিগার তনু। বন্ধ করে দেওয়া হয় প্রীতিভোজের অনুষ্ঠান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আবদুল লতিফ খলিফার ছেলে রাজিব খলিফার (৩৪) সঙ্গে মাদারীপুরের সদর উপজেলার চরমুগুরিয়া গ্রামের আইয়ুব আলীর মেয়ে শ্রাবণী আক্তার লাবনীর কিছুদিন ধরে বিয়ের কথা চলছিল। কঠোর লকডাউনের আগে পাত্র-পাত্রী পক্ষের মধ্যে কথাবার্তা হয়। তারা বিয়েতে সম্মতি দেন। এরপর উভয়পক্ষ সোমবার দুপুরে বরের বাড়িতে বিয়ের দিন নির্ধারণ করেন। বর-কনের আত্মীয়-স্বজনসহ স্থানীয় শতাধীক ব্যক্তিদের দাওয়াত দেয়া হয়।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কাজী ডেকে বিয়ে পড়ানো হয়। বরসহ এ সময় উভয় পক্ষের আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত ছিলেন। কথা ছিল দুপুর ২টার দিকে অতিথিদের খাবার পরিবেশনের। কিন্তু এর আগেই বিয়ে বাড়িতে এসি ল্যান্ড মেহের নিগার তনু পুলিশ নিয়ে হাজির হন।

এ সময় কনে বাড়ির লোকজনসহ বেশ কয়েকজন অতিথি আশপাশের বিভিন্ন বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরে এসিল্যান্ড প্রীতিভোজের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেন। না খেয়েই সকল অতিথিরা যার যার গন্তব্যে চলে যান বলে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়।

আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল হাশেম জানান, বরের বাবা আবদুল লতিফ খলিফা এই মর্মে মুচলেকা দিয়েছেন “লকডাউনের মধ্যে এই ধরনের আয়োজন আর করবেন না।”