শিমুলীয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড়, মানছে না স্বাস্থ্যবিধি

বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিনে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। তবে আগের তুলনায় সীমিত করা হয়েছে ফেরি চলাচল। ফলে নিরাপদ দূরত্বে না থেকেই যাত্রীরা পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন, কোনো লক্ষণ নেই স্বাস্থ্যবিধি মানারও।

উল্লেখ্য, পদ্মায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় স্রোতের গতিও বৃদ্ধি পেয়েছে, ফলে ফেরি পারাপারে সময় লাগছে আগের চেয়ে বেশি। বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা যায়, কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিনে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে ফেরি চলাচল সীমিত করে চলছে ৮টি ফেরি। ফেরিগুলোতে ঢাকামুখী যাত্রী চাপ বেশি। ফলে নিরাপদ দূরত্বে না থেকেই যাত্রীরা পারাপার হচ্ছেন। মাস্ক ব্যবহারেও দেখা যায়নি তেমন সচেতনতা। ঘাটে মোতায়েন রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যাত্রীরা কয়েকগুন ভাড়া গুনে বরিশাল, পটুয়াখালী, খুলনা, ফরিদপুর, মাদারীপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে মটরসাইকেল, ইজিবাইক, থ্রিহুইলারসহ হালকা যানবাহনে চড়ে ঘাটে আসছেন। একইভাবে যাত্রীরা ঘাট থেকে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে পৌঁছাচ্ছেন। নানান অজুহাতে ছুটছেন যাত্রীরা।

বরিশাল থেকে ঢাকাগামী এক যাত্রী বলেন, “ঈদে বাড়ি এসেছিলাম। এখন ঢাকা যাচ্ছি। বরিশাল থেকে মোটরসাইকেলে এক হাজার ১০০ টাকা ভাড়া দিয়ে বাংলাবাজার ঘাটে এসেছি। এখন ফেরিতে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছি। জানি না আরও কত টাকা ভাড়া গুনতে হবে।”

খুলনা থেকে ঢাকাগামী অন্য এক যাত্রী বলেন, “জরুরি কাজে ঢাকা যাওয়া লাগছে তাই যাচ্ছি। ইজিবাইক ও নসিমনে চড়ে ভেঙে ভেঙে খুলনা থেকে বাংলাবাজার ঘাটে এসেছি। যেখানে ঢাকা পর্যন্ত ভাড়া লাগতো ৫০০ টাকা সেখানে ঘাট পর্যন্তই ১ হাজার ২০০ টাকা চলে গেছে।”

ঢাকাগামী ফেরির আরেক যাত্রী বলেন, “ডাক্তার দেখাতে ঢাকা যাচ্ছি। ফেরিতে উঠেছি কিন্তু এখানে অধিকাংশ যাত্রীদেরই মুখে মাক্স নেই। কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। মনে হয় করোনা দেশ থেকে পালিয়েছে।”

বিআইডব্লিউটিসি বাংলাবাজার ঘাট ম্যানেজার মো. সালাউদ্দিন বলেন, “ফেরিতে পণ্যবাহী ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে। ফেরি চলছে ৮টি। পদ্মায় তীব্র স্রোতে অব্যাহত থাকায় ফেরি পারাপারে সময় কিছুটা বেশি লাগছে।”