চালের সরকারি মজুদ বাড়ানোর তাগিদ

চালের বাজারের অস্থিরতার জন্য উৎপাদন ও চাহিদার তুলনায় সরকারি মজুদ সক্ষমতা কম থাকাকেই দুষছেন ব্যবসায়ি ও বিশ্লেষকরা। দেশের বাজারে দর কম থাকার পরও চালের আমদানি কমানোর উদ্যোগ না নেয়ারও কঠোর সমালোচনা করছেন তারা। ধান চাষীদের আপদকালী সহায়তার দেয়ার পাশাপাশি বাজার স্থিতিশীল রাখতে দীর্ঘ মেয়াদে উদ্যোগ নেয়ার দাবি বিশ্লেষকদের।

রাজধানীর বাবু বাজারের পাইকারি আড়তগুলোতে চালের সস্তা দাম। মজুদও রয়েছে প্রচুর। সরকারি তথ্য বলছে, দেশেই প্রচুর ধান উৎপাদন হলেও গেল ১০ মাসে ২ লাখ টন চাল আমদানি হয়েছে প্রতিবেশি দেশ থেকে। আমদানির প্রক্রিয়া শেষে দেশের বাজারে আসার অপেক্ষায় আছে আরও ৩ লাখ ৮০ হাজার টন চাল। এ অবস্থায় চাল আমদানি নিষিদ্ধের দাবি ব্যবসায়ীদের।

বাদামতলী ও বাবুবাজার চাউল আড়ৎদার সমিতি সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন চাল আমদানি বন্ধের দাবি জানিয়ে বলেন, \’নাজিরশাল চাল যেটা আমাদের দেশে ৪৭ থেকে ৪৯ টাকার মধ্যে। সেটা ভারত থেকে এনে বিক্রি করা হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকায়। এ চালটা আমাদের দরকার নেই।\’

বিশ্লেষকরা বলেছেন আপদ থেকে কৃষককে বাঁচাতে সরকারের উচিত নগদ আর্থিক সহায়তা দেয়া। সেই সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদে এ সমস্যার সমাধানে সরকারি মজুদের সক্ষমতা বাড়ানোর পক্ষেও মত তাদের। সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক বলেন, \’আমাদের আগে একটা শস্য গুদাম ঋণ প্রকল্প ছিল। এতে করে কৃষকের কাছে শস্য থাকতো। এ প্রকল্পটা আবার চালু করা যেতে পারে। কৃষককে বিনা শর্তে কিছু ঋণ দেয়া যেতে পারে।\’

অর্থনীতিবিদ মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন জানান, ঘাটতি দেখা দিলে আমাদানি শুল্ক কমিয়ে দিয়ে আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়। তবে কতটুকু আমদানি হবে সেখানে একটা কোটার দরকার। চাল রপ্তানির উদ্যোগও সহসা বাজারে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকরা। চাল রপ্তানির কোন ধারা এখনও সৃষ্টি হয়নি এদেশে অভিযোগ করে মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, \’বাংলাদেশ তো রপ্তানি করে না। মজুদ করার জায়গা না থকলে দাম কমতে থাকবে। তাই দাম কমেছে।\’

সরকার যদি দু এক দিনের মধ্যেই বেশি পরিমাণে চাল সংগ্রহ শুরু করে তবেও বাজার কিছুটা চাঙ্গা হবে বলেও মনে করেন তারা।