ডিজিটাল উদ্ভাবন ও প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রাইম ব্যাংকের অঙ্গীকার

আজ প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর পূর্তিতে গ্রাহকমুখী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ডিজিটাল উদ্ভাবন ও প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেছে প্রাইম ব্যাংক। করোনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যে রোববার দুপুরে ভিডিও কনফারেন্সে সংবাদ সম্মেলনে এসে গ্রাহকদের কাছে এ প্রতিশ্রুত তুলে ধরেন ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও রাহেল আহমেদ। এতে ব্যাংকের বিভিন্ন অর্জন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরার পাশাপাশি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সিইওসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বিশেষায়িত পণ্য ও সেবা দিয়ে প্রাইম ব্যাংক গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করেছে মন্তব্য করে সিইও রাহেল বলেন,গ্রাহকদের ক্রমপরিবর্তনশীল চাহিদার কথা বিবেচনায় রেখে আমরা নিত্যনতুন প্রোডাক্ট নিয়ে আসব। গ্রাহককেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গির কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে ডিজিটাল উদ্ভাবন ও প্রতিনিয়ত প্রসেস ও প্রপোজিশনের পরিবর্তন।

মহামারি করোনা সম্পর্কে রাহেল আহমেদ বলেন, এ ধরনের সংকট আমাদের শিক্ষা দেয় আগামীতে ব্যাংকের বড় বড় শাখা খোলার চিন্তুা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ছোট ছোট শাখা, বুথ ও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে নজর দিতে হবে। ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ে জোর দিতে হবে। এখন আমরা দেখছি যে যতো বেশি ডিজিটাল সেবা দেবে তারা ততো এগিয়ে।

সরকার যে বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করেছে মন্দ গ্রহকরা এটি ব্যবহারের সুযোগ নিবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী বিশেষ প্রণোদনার টাকা পাবেন না খেলাপিরা। কাদের মধ্যে টাকা বিতরণ করা যাবে তা স্পষ্টভাবে বর্ণনা করা আছে সেখানে। সুতরাং দুষ্ট লোকদের ধান খেয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজম জে. চৌধুরী বলেন, উন্নত প্রোডাক্ট ও সার্ভিস, ধারাবাহিক আর্থিক ফলাফল, কর্পোরেট সুশাসন, নৈতিকতা, স্বচ্ছ্বতা ও জাবাবদিহিতার সাহায্যে প্রাইম ব্যাংক ইতিমধ্যেই ব্যাংকিং খাতে অনন্য স্থান অর্জন করেছে। বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। এসময়ে প্রাইম ব্যাংক নতুন উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে অবদান রাখতে চায়। কর্পোরেট, কনজিউমার, এসএমই বিজনেস সম্প্রসারণ এবং মানবসম্পদ ও প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে দেশের সেরা হতে চায় প্রাইম ব্যাংক।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গৌরবময় ২৫ বছরে প্রাইম ব্যাংক দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। ২৫ বছরে দেশের অন্যতম শীর্ষ ব্যাংকে পরিণত হয়েছে। অনেক বড় পরিসরে ও আয়োজনের মাধ্যমে ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু বর্তমানের করোনাভাইরাস পরিস্থিতির প্রাইম ব্যাংক সকল অনুষ্ঠান বাতিল করেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে প্রাইম ব্যাংক।

১৯৯৫ সালের ১৭ এপ্রিল যাত্রা শুরু করে প্রাইম ব্যাংক। গৌরবময় ২৫ বছরে প্রাইম ব্যাংক দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। নতুন উদ্যোক্তা তৈরি, শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিরাট ভূমিকা রেখেছে প্রাইম ব্যাংক। ক্যাপিটাল অ্যাডিকোয়েসি, অ্যাসেট কোয়ালিটি, পেশাদারী ব্যবস্থাপনা, তারল্যেও পর্যাপ্ততা ও মুনাফার দিক থেকে ধারাবাহিকতায় প্রধান সারির ব্যাংক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। কর্পোরেট সুশাসন, নৈতিকতা, স্বচ্ছ্বতা ও জাবাবদিহিতার স্বীকৃতি স্বরূপ অর্জন করেছে দেশী-বিদেশী অনেক মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার। গ্রাহকদের আস্থা ও অর্জিত সুনামের উপর ভর করে আগামী দিনেও ব্যাংকিং খাতে নতুন নতুন মাইলফলক অর্জনে কাজ করে যাবে প্রাইম ব্যাংক।

১৪৬ শাখা, ১৭০টি এটিএম ও ৩,২০০ এর বেশি নিবেদিত কর্মীবাহিনী নিয়ে প্রাইম ব্যাংক ইতিমধ্যেই কর্পোরেট কনজিউমার, এসএমই ও ট্রেজারিতে শক্তিশালী অবস্থান সৃষ্টি করেছে।

সম্মেলনে ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিআরও মো. তৌহিদুল আলম খান, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিএফও মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান চৌধুরী, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিবিও ফয়সাল রহমান, হেড অব এইচআর জিয়াউর রহমান, সিওও আবদুল হালিম, হেড অব কনজিউমার ব্যাংকিং এএনএম মাহফুজ, হেড অব টিবি, এসএফডি ও আইডি শামস্ আবদুল্লাহ মোহাইমিন, হেড অব এমএসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ এম. ওমর তৈয়ব, হেড অব আইটি ইকবাল হোসেন এবং হেড অব ব্র্যান্ড ও কমিউনিকেশন্স নাজমুল করিম চৌধুরী অংশ নেন।