বাজেটে দাম বাড়বে যেসব পণ্যের

২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশে চলমান করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে বিভিন্ন খাতের কিছু পণ্যের শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বিকেল সোয়া ৩টায় জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ বাজেট উত্থাপন করেন।

এটি দেশের ৪৯তম ও বর্তমান সরকারের তৃতীয় মেয়াদের দ্বিতীয় বাজেট। আর অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালের দ্বিতীয় বাজেট।

এসব পণ্যের দাম বাড়বে। যেমন- আমদানি করা পেঁয়াজ, এয়ারকন্ডিশনার, প্রসাধনী সামগ্রী, মোবাইল ফোন সেবা খরচ, ইন্টারনেট সেবা, বিড়ি ও সিগারেট, আলোকসজ্জা সামগ্রী, গাড়ি রেজিস্ট্রেশন খরচ, গাড়ি, শ্যাম্পু, চকলেটসহ বিদেশি টিভিতে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত বাজেটে যেসব পণ্যের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে ৷ যেমন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত লঞ্চের টিকিট খরচ বাড়বে। আগে ৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর ছিল, নতুন অর্থবছরে তা বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

চার্টার্ড ফ্লাইট ও হেলিকপ্টার ভাড়ার ওপর সম্পূরক শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রসাধনী সামগ্রীর ওপর সম্পূরক শুল্ক ৫ থেকে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। পেঁয়াজ আমদানিতে কিছুটা শুল্ক আরোপ হবে। আসবাবপত্র কেনায় মূসক বেড়েছে। ৫ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে। মোবাইল ফোনে কথা বলার ওপর কর বাড়ছে।

প্রাইভেটকার ও জিপ রেজিস্ট্রেশনসহ বিআরটিএ প্রদত্ত অন্যান্য সার্ভিস ফির ওপর সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। সিরামিকের সিঙ্ক বেসিনের ওপর ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। মধুর বাল্ক আমদানি শুল্ক বাড়ছে। বিদেশি মধুর দাম বাড়বে।

এছাড়া হাতে তৈরি খাবার, গুঁড়া দুধ, রং, অনলাইন খাবার, অনলাইন কেনাকাটা, সোডিয়াম, সালফেড, আয়রন স্টিল, স্ক্রু, বার্নিস, বাইসাইকেল, কম্প্রেসার শিল্পে ব্যবহৃত উপকরণ, বিদেশি মোটরসাইকেল বডি স্প্রে, স্মার্টফোন, ফলের জুস, বোতলজাত পানি, আমদানি করা অ্যালকোহল, কোমল পানীয় পলিথিন ব্যাগের দাম প্রস্তাবতি বাজেট বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থবছরের আকার ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। যা জিডিপির ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটে পরিচালনসহ অন্যান্য ব্যয় বাবদ খরচ ধরা হচ্ছে ৩ লাখ ৬২ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা।

রাজস্ব আয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে ৩ লাখ ৮২ হাজার ১৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হচ্ছে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এনবিআর বহির্ভূত করসমূহ থেকে রাজস্বে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া কর ব্যতীত রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটে মোট ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। যা জিডিপির ৬ শতাংশ। এ হার গত বাজেটে ছিল ৫ শতাংশ।