নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উৎসে আয়কর কমিয়ে ২ শতাংশের প্রস্তাব

নিত্যপণ্যের দ্রব্যে স্থানীয় পর্যায়ে সরবরাহের ক্ষেত্রে উৎসে আয়কর কর্তনের সর্বোচ্চ হার ৫ শতাংশ, যা প্রস্তাবিত বাজেটে ভিত্তিমূল্য নির্বিশেষে ২ শতাংশে নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২০–২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনকালে এ প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

২০২০–২১ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। এদিন ৩টায় জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী।

প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী বলেন, মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ব্যবসায়ীদের হাতে চলতি পুঁজির ঘাটতি লাঘবকল্পে এবং উৎসে করহার যৌক্তিকরণের লক্ষ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ কতিপয় পণ্যে উৎসে আয়কর কর্তনের হার কমানোর প্রস্তাব করছি। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য যেমন চাল, আটা, আলু, পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদি স্থানীয় পর্যায়ে সরবরাহের ক্ষেত্রে উৎসে আয়কর কর্তনের সর্বোচ্চ হার ৫ শতাংশ, যা ভিত্তিমূল্য নির্বিশেষে ২ শতাংশে নির্ধারণের প্রস্তাব করছি।

প্রস্তাবিত বাজেটে তিনি বলেন, এছাড়া বর্তমানে রসুন ও চিনি আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর সংগ্রহ করা হয়। আমি এই হার ৫ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ২ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করছি। হাঁস-মুরগির খাদ্য উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত কাঁচামাল আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর আরোপ করা হয়। পোল্ট্রি শিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে আমি এই অগ্রিম আয়কর আরোপ ৫ শতাংশের পরিবর্তে ২ শতাংশ প্রস্তাব করছি।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত এম এস স্ক্রাপ সরবরাহের উপর উৎসে আয়কর কর্তনের সর্বোচ্চ হার ৫ শতাংশ। স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত এম এস স্ক্রাপ সরবরাহকারী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের আর্থিক সক্ষমতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এবং লৌহ উৎপাদন শিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে আমি স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত এম এস স্ক্রাপের সরবরাহের উপর উৎসে আয়কর কর্তনের হার ভিত্তিমূল্য নির্বিশেষে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করছি।