সহায়তা না পেলে পোশাক খাতকে সামাল দেওয়া যেত নাঃ বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন যে, মহামারী করোনাকালে প্রণোদনা, সহযোগিতা-সহায়তা না দিলে রপ্তানি আয়ের সবচেয়ে বড় খাত তৈরি পোশাক খাতকে উদ্যোক্তারা সামাল দিতে পারতেন না।

আজ রোববার (০১ নভেম্বর) রাজধানীর ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ সময়ে যখন সব কিছু স্থবির হয়ে পড়েছিলো তখনও আমাদের দেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দেশের অর্থনীতি প্রতিবেশী অন্য সব দেশের তুলনায় ভালো অবস্থানে ছিলো।

টিপু মুনশি বলেন, সত্যিকার অর্থে দেশটা অনেক এগিয়েছে, অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে। বিশ্বের সব সংস্থার প্রতিবেদন বলছে, দেশের অর্থনীতি প্রতিবেশী অন্য সব দেশের তুলনায় ভালো অবস্থানে আছে। তবে আমরা একেবারেই বিপদমুক্ত না, কিছুটা হয়তো ঝুঁকিও রয়েছে। আমাদের ইতিবাচক দিকটাকে লিখিত আকারে তুলে ধরতে হবে। আমরা এটা করলে সমালোচনা হবে, বলা হবে একতরফা, তাই সত্যটাকে লিখিত আকারে তুলে ধরতে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। কিন্তু এখানে কারোর কিছু করার নেই, আমাদের চাহিদার তুলনায় ৮ থেকে ৯ লাখ মেট্রিক টন ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতির ৯০ শতাংশ যোগানদাতা ভারত। কিন্তু তারা হঠাৎ করেই রপ্তানি বন্ধ করেছে, এর আগেও এটা হয়েছিলো। এজন্য আমরা তাদের অনেক বকাবকি করেছি। তবে আগামীতে পেঁয়াজে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারবো।

পেঁয়াজ ও আলুর দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের কলকাতাতে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশি টাকায় ৫৫ টাকা, পেঁয়াজ বাংলাদেশি টাকায় ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমাদের এখানেও আলু-পেঁয়াজের দাম বেশি, সেখানেও একই অবস্থা। কারণ, এই সময়ে ঘাটতি দুই দেশেই আছে। তবে সমস্যা সমাধানে আমরা মন্ত্রণালয় ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে বসার পর পরই তারা আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। ইতোমধ্যে আসতে শুরু করেছে।

ইআরএফ সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ, ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক এসএম রাশিদুল ইসলাম। এ সময় সিনিয়র সাংবাদিক ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।