বাহারি নামের কোরবানির পশু নিয়ে প্রস্তূত মানিকগঞ্জের প্রান্তিক খামারিরা

ঈদুল আযহা উপলক্ষে খামারিরা প্রতিবছরই কোরবানির হাটে বাহারি ও চমক সৃষ্টিকারী পশু নিয়ে হাজির হয়। বিশেষ করে বিভিন্ন নামের গরু নিয়ে বেশ মাতামাতি হয়। তবে এবার করোনা মহামারির বিধিনিষেধের কারণে কিছুটা দুশ্চিন্তা থাকলেও লাভের আশা করছে খামারিরা।

মানিকগঞ্জের কয়েকজন প্রান্তিক খামারি সাহেব, কালো রংবাজ, বিন্দাস, যোদ্ধা, যুবরাজ এমন বাহারি নামের কোরবানির পশু নিয়ে প্রস্তূত। জেলার সবচেয়ে আকর্ষণীয় এবং বড় আকারের এই গরু দেখতে প্রতিদিন তাদের খামারে ভিড় করছে মানুষ। তবে চলমান সঙ্কটে ভালো দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে খামারিদের।

আয়েশি জীবন পছন্দ করে বলেই তার নাম রাখা হয়েছে সাহেব। ৪০ মণ ওজনের হলেস্টেইন ফ্রিজিয়ান জাতের এই গরুটি মানিকগঞ্জের প্রান্তিক খামারি নোমাজ আলীর বাড়িতে মোটাতাজা হচ্ছে।

সাহেবের উল্টো স্বভাবের গরু কালো রংবাজ আর বিন্দাস। ফিরোজা বেগমের খামারে পরম যত্নে বড় হচ্ছে কোরবানির পশু দুটি।

দেশসেরা কোরবানির পশু পালন করে তাক লাগিয়ে দেয়া ইতি’র খামারে এবারও রয়েছে যোদ্ধা, যুবরাজ ও সিংহরাজ নামে তিনটি গরু। প্রতিটির ওজন ৩০ মণের ওপরে। লকডাউনে শঙ্কা কিছুটা থাকলেও ভালো দাম পাওয়ার আশা খামারিদের।

কোরবানিকে সামনে রেখে প্রান্তিক খামারিরা সন্তানের মতোই লালন পালন করে বড় করেছে এসব পশু। যা দেখতে প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে ভিড় করছে মানুষ। প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজা করা এসব পশু হাটের ঝক্কি ঝামেলা এড়াতে বাড়ি থেকেই বিক্রি করতে চায় খামারিরা।