নেত্রকোনায় কলমাকান্দা উপজেলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী কেয়া আফরোজ কাকলীকে (২২) পিটিয়ে জখম করেছে একই গ্রামের একপরিবারের তিন সন্ত্রাসী। গতকাল বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর আনুমানিক দেড়টায় নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার পোগলা ইউনিয়নের আতকাপাড়া গ্রামে এ হামলার ঘটনাটি ঘটে। কেয়া আফরোজ কাকলী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের আবাসিক ছাত্রী। করোনাকালীন ছুটি থাকায় তিনি নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। কেয়া আক্তার কাকলী আতকাপাড়া গ্রামের মৃত আবু শ্যামার মেয়ে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী কেয়া আফরোজ কাকলীর বক্তব্য হলো, \”আপেল, লালচান ও তার মা আমাদের এক মাস বয়সী গরুর বাছুরটিকে মেরে অশ্লীল ভাষায় গালি দিতে দিতে আমাদের বাড়িতে আসেন। আমি তাদেরকে বলি এক মাসের বাছুর দুধ ছাড়া ধানের জালা খায় না। তারপরও যদি ক্ষতি করে থাকে ক্ষতিপূরণ দেবো। গালিগালাজ করেন কেন? এ কথা বলতেই আপেলের মা আমার হাত ধরে আর আপেল বাঁশ দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এতে আমার মাথা ফেটে থেকে রক্ত বের হতে থাকে। আর কালাচান আমার মাকেও মারধর করে। রক্তাক্ত অবস্থায় কয়েকজন আমাকে উদ্ধার করে প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে হাসপাতালে নিয়ে আসে। আমার মাথায় দুটি সেলাই দেওয়া হয়েছে।\”
অভিযুক্তরা পাশের গোমাই বাজার এলাকার আব্দুল রাজ্জাক রাজুর দুই ছেলে আপেল মিয়া (২২) লাল চান মিয়া (২৮) এবং আব্দুল রাজ্জাক রাজুর স্ত্রী অভিযুক্তদের মা। কলামাকান্দা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শহিদুল ইসলাম জানান এ ঘটনায় গতকাল বিকেলে লাল মিয়াকে আটক করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফখরুজ্জামানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ব্যাপারে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে তিনি জানান।
কলমাকান্দা হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহরাব হোসাইন লিংকন বলেন, ‘কেয়াকে নিয়ে হাসপাতালে আসলে তার মাথায় দুটি সেলাই দেওয়া হয়েছে ও তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে, কেয়ার অবস্থা এখন শঙ্কামুক্ত।’






