‘রাহার মতো পরিচালকরা সোনা দেখিয়ে মুলা ধরিয়ে দেয়’

পরিচালক রাশেদ রাহা ও প্রযোজক সাকিব সনেটের দ্বন্দে শাকিব খান ও ববির ‘নোলক’ সিনেমা নিয়ে অনেকদিন ধরে জলঘোলা হচ্ছে। নির্মাণের শুরু থেকে আলোচনার তুঙ্গে থাকা ছবিটি আগামী ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেতে যাচ্ছে।

তার আগেই এলো টিজার। ৫২ সেকেন্ডের টিজার প্রকাশ হয়েছে বৃহস্পতিবার বিকেলে। ব্যাপ্তি অল্প সময় হলেও রাজত্ব, হিরো দ্য সুপারস্টারের পর আবার নোলকের জন্য যে শাকিব-ববি আলোচনায় আসতে পারে সেই আভাষ পাওয়া গেল।

এদিকে, ‘নোলক’-এর টিজারে কেমন সাড়া পাচ্ছেন? এমন প্রশ্নে ববি বলেন, সত্যি বলতে, এতটা সাড়া পাব ভাবিনি। ইউটিউবে অনেকে মন্তব্য করেছেন টিজারে তারা ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’-এর একটা ছোঁয়া পেয়েছেন। আমি সত্যিই এমন ইনোসেন্ট কোনো চরিত্র আগে করিনি। অভিনয় করার সময় অনেক দৃশ্যে কখন যে কেঁদে ফেলেছি নিজেই বুঝতে পারিনি।

ছবিটির পরিচালক দ্বন্দে চলচ্চিত্রের অনেকেই এখন দুই ভাগে বিভক্ত। বিষয়টি লজ্জাজনক বলে ববি বলেন, ‘দুই ভাগে বিভক্ত’—কথাটাই তো লজ্জার। কেন দুই ভাগে বিভক্ত হবেন তারা? একটা বছর ধরে ছবিটি নিয়ে ঝামেলা চলছে। এমনিতেই চলচ্চিত্রে পেশাদার প্রযোজক নেই। নতুন যারা আসছেন রাহার মতো পরিচালকরা তাঁদের সোনা দেখিয়ে মুলা ধরিয়ে দিচ্ছেন। অনেকেই এর প্রতিবাদ না করে উল্টো সাফাই গাইছেন! আগে বছরে ৭০-৮০টি ছবি হতো, এখন ৩০-৩৫-এ নেমে এসেছে। এবার অন্তত প্রযোজকদের নিয়ে ভাবুন।

এদিকে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে এখনো নাকি ‘নোলক’-এর শুটিং বাকি! এটাকে গুজব বলে ববি বলেন, এটা অপপ্রচার। শাকিব খান, তারিক আনাম খান, ওমর সানী, মৌসুমীর মতো তারকারা ছবিতে অভিনয় করেছেন। চরিত্রের পরিণতি না থাকলে কি তারা ডাবিং শেষ করে দিতেন? এই তারকাদের কেউ কি প্রযোজকের অনুরোধে ঢেঁকি গিলবেন! সবাইকে বলছি, অপপ্রচার না চালিয়ে ইন্ডাস্ট্রির জন্য হলেও ছবিটির পাশে দাঁড়ান।

Scroll to Top