অভিনয়ে সুযোগ পেতে ঈশাকে একা আসতে বলা হয়

বলিউডে কাজ করছেন প্রায় দুই দশক ধরে আইটেম ডান্সার ও অভিনেত্রীঈশা কোপিকর। ২০০২ সালে কোম্পানি ছবিতে, খাল্লাস গানটির সঙ্গে তাঁর নাচ অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছিল। পরবর্তীতে তিনি বহু ছবিতে অভিনয় করেছেন, তবে পাশাপাশি তাকে অনেকটা স্ট্রাগল করতে হয়েছে স্বজনপোষণ ও মিটু-র বিরুদ্ধে। ঈশা সম্প্রতি পিঙ্কভিলা-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে বিস্ফোরক কিছু তথ্য জানিয়েছেন।

ঈশা জানিয়েছেন, ক্যারিয়ারের বহু ছবিতে তাকে কাস্টিং করার পরও বাদ দেওয়া হয়েছে স্বজনপ্রীতির কারণে। আবার যৌন হয়রানি থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য অনেক ছবির বিষয় কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে বহু সুযোগ হাতছাড়া রয়েছে। তেমনই একটি ঘটনার কথা জানিয়েছেন ঈশা পিঙ্কভিলাকে।

ঈশা বলেন, ”একবার এক প্রযোজক আমাকে ফোন করে বলেন যে এই ছবিটা হচ্ছে। তুমি অমুক অভিনেতাকে ফোন করে তার নেকনজরে থাকার চেষ্টা করো। আমি তার পরে ফোন করি। তিনি জানান যে তার সারাদিনের টাইমটেবিলে কোনও সময় ফাঁকা নেই। ওই তারকা খুব ভোরবেলা উঠে জিম করতে যান। উনি আমাকে তার ডাবিং আর অন্য কোনও একটি কাজের ফাঁকে দেখা করতে বলেন। উনি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন যে আমার সঙ্গে আর কে আসবে। আমি জানালাম যে আমার ড্রাইভার সঙ্গে থাকবে। উনি বলেছিলেন, কাউকে সঙ্গে নিয়ে আসার দরকার নেই। আমার বয়স তখন ১৫ কিংবা ১৬। আমি বুঝে গিয়েছিলাম যে কী ঘটতে চলেছে। তাই আমি উত্তরে বলেছিলাম যে কাল আমি ফ্রি নেই, আপনাকে পরে জানাচ্ছি।”

এর পরেই ঈশা ওই প্রযোজককে ফোন করে বলেন যে তাকে যদি কাস্টিং করতে হয় তবে যেন সেটা তার প্রতিভার ভিত্তিতে করা হয়। কারণ চরিত্রের জন্য এই সব তিনি করতে পারবেন না। ঈশা ওই সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে, খুব স্বাভাবিকভাবেই এরপর আর সেই অভিনেতার সঙ্গে তাঁর কাজ করা হয়নি। ঈশা বলেন, ”কোনও মেয়ে যদি না বলে, তবে সেটা এরা ঠিক নিতে পারেন না।”

এছাড়াও ঈশা ওই সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে বহু তারকার সেক্রেটারিরা তাকে অশোভনভাবে স্পর্শ করেছেন। এমন নানাবিধ অভিজ্ঞতার মধ্যে যেতে হয়েছে অভিনেত্রীকে।