বউয়ের বিরুদ্ধে কথা বললে আইনি ব্যবস্থার হুঙ্কার নাসিরের

কোনো ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, ইউটিউবে বা অন্য কোথাও ‘বাজে’ মন্তব্য করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার নাসির হোসেন। তিনি বলেন, “আপনাদের সবারই মা-বোন আছে। ওর (তামিমার) কি সুখে থাকার কোনো অধিকার নেই?”

আজ বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সস্ত্রীক এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন নাসির। জাতীয় দলের এই অলরাউন্ডার বলেন, “সে (তামিমা) তো এখন আমার স্ত্রী। আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধে রাকিব সাহেব (তামিমার সাবেক স্বামী) বা অন্য যে কেউ বাজে মন্তব্য করলে আইনি ব্যবস্থা নেব।

গণমাধ্যমকে উদ্দেশ্য করে নাসির বলেন, “সত্যটা জেনে আপনারা নিউজ করুন। সঠিক তথ্যটা সবার সামনে তুলে ধরুন।”

রাকিবকে উদ্দেশ্য করে নাসির বলেন, “এত নাটক করার কিছু নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় এসে এত কথা বলার তো কিছু নেই।”

তামিমা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “সাবেক স্বামী রাকিবকে তালাক দিয়েই নাসিরকে বিয়ে করেছি। ২০১৭ সালে তাকে তালাক দেই। রাকিবের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়েছিল এবং আমাদের একটি সন্তান আছে। এছাড়া, রাকিব যেসব কথা বলছেন তার সবই মিথ্যা।”

রাজধানীর উত্তরার একটি রেস্তোরাঁয় গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে নাসির ও তামিমার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। তামিমা পেশায় একজন কেবিন ক্রু। কাজ করেন সৌদি এয়ারলাইনসে।

বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হতে না হতেই বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। রাকিব হাসান নামে এক ব্যক্তি তামিমা সুলতানা তাম্মির সাবেক স্বামী পরিচয় দিয়ে অভিযোগ করেন, তাকে ডিভোর্স না দিয়েই আবার বিয়ের পিঁড়িতে বসেন তামিমা। রাকিব এ অভিযোগে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেন। তিনি তামিমার সঙ্গে তার দীর্ঘ সম্পর্কের কথা থানায় জানান। উল্লেখ্য, তামিমার সঙ্গে রাকিবের ১১ বছরের সংসার এবং তাদের ৮ বছরের একটি মেয়েও আছে।

এরপর এ ঘটনায় একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠান রাকিব। প্রতারণার হাত থেকে বাঁচতে বিয়ে ও ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া ডিজিটাল করার নির্দেশনা চেয়ে আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিবকে লিগ্যাল নোটিশটি পাঠানো হয়। ডিভোর্স পেপার ছাড়াই অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে বুধবার নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন রাকিব হাসান।