যে তারকাদের নিয়ে ফেসবুকে হাস্যরসের ঝড় উঠে!

সেলিব্রেটিদের নিয়ে সমালোচনা, গুজব ও ব্যঙ্গ করার প্রচলন নতুন নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রল বানিয়ে তাঁদের সরাসরি অসম্মান করা যেন এখন হালের ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। সেলিব্রেটিদের নিয়ে ফেসবুকে উঠে হাস্যরসের ঝড়! আবার এই হাস্যরসই অনেককে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করে।

হিরো আলম

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশেষ করে ফেসবুক এবং ইউটিউবে ঝড় তুলেছেন তিনি। আসল নাম আশরাফুল আলম। বাড়ি বগুড়া। পেশায় একজন ক্যাবল অপারেটর। তবে তার পুরো নামটি হারিয়ে গেছে হিরো আলম নামের মাঝে। তিনি এখন সবার কাছে হিরো আলম। তিনি কী এমন করেছেন যা নিয়ে এত হই-চই। যাকে ঘিরে মেতে উঠেছে মূলধারার গণমাধ্যমও! গত বছর ভারতীয় গণমাধ্যম তাকে নিয়ে নিউজ করে। গুগল সার্চে সালমান খানকেও ছাড়িয়ে গেছেন আলম। শাহরুখ খানের সঙ্গে ফটোশপ করা ছবি নিয়েও নিউজ হয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমে। এই জনপ্রিয়তার কারণ কি? ইউটিউবে নিজে মডেল হয়ে গানের ভিডিও করতেন আলম। তা নিয়েই শুরু হয় একশ্রেণির মানুষের মধ্যে উম্মাধনা। একজন দুজন করে হিরো আলমের পরিচিতি এখন সবার কাছে। তাঁর সঙ্গে দেশের অনেক বড় সেলিব্রেটিরাও ছবি তুলে নিজেদের ফেসবুকে প্রকাশ করে থাকেন মজার সব ক্যাপশন দিয়ে। ইতোমধ্যে সিনেমাতেও নাম লিখিয়েছেন। ‘মার ছক্কা’ নামের সে সিনেমায় তার চরিত্র নিয়ে একশেষ সমলোচনা হয়েছে। কিন্তু তাই বলে তিনি থেমে থাকবেন বলে কেউ ভাববেন না। সে তার মতো চালিয়ে যাচ্ছে সস্তা বিনোদন দেওয়া।

ড. মাহফুজুর রহমান

ঘোষণা দিয়েছেন তিনি প্রতিবছর কমপক্ষে একটি হলেও গানের অনুষ্ঠানে গাইবেন। এবার ঈদুল আজহায় এটিএন বাংলায় সম্প্রচারিত তার একক সংগীতানুষ্ঠান ‘স্মৃতির আল্পনা আঁকি’। তা নিয়ে সোশ্যালমিডিয়ায় ট্রল আর সমলোচনায় ভরে যায়। এমনকি তাঁর গানে যারা মডেল হয়েছেন। দর্শক তাদেরও একরকম ধুয়ে দিয়েছে। তার সমলোচনা করে অনেক মিডিয়া ব্যাক্তিত্বরাও ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছে। আর এসবের থোরাই কেয়ার করেন মাহফুজুর রহমান। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন এখন থেকে নিয়মিতই গান করবেন। আর প্রতি ঈদে কমপক্ষে একটি করে হলেও তার একক গানের অনুষ্ঠান হবে। যে যাই বলুক নিজের গানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ এ নয়া কন্ঠশিল্পী।

কেকা ফেরদৌসী

আশির দশক থেকে তিনি রান্নার অনুষ্ঠান করেন। বিটিভির সোনালী যুগে তার ‘ঘরে বাইরে’ নামের অনুষ্ঠানটির আলোচনাও কম ছিল না। তার রয়েছে রান্নার স্কুলও। সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন তিনি। বাংলাদেশের প্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘প্রেসিডেন্ট’ এর কেন্দ্রীয় দুই চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি এবং তার ভাই ফরিদুর রেজা সাগর। তো হঠাৎ এমন কি ঘটল যাতে করে খ্যাতির চূড়া থেকে একেবারে তামাশায় পাল্টে গেলেন কেকা ফেরদৌসী? কেকা আপা থেকে কেন কেকাপ্পা বনে গেলেন?

গত বছর সম্ভবত তাকে নিয়ে ‘ট্রল’ চালু হয়। দেশ টিভির এক রান্নার অনুষ্ঠানে নুডুলসের আচার রাধা হলো ইফতারের আগের এক রান্নার রেসিপির অনুষ্ঠানে। সেই যে শুরু। নুডুলস, ফেসবুক টুইটারের কড়াইতে ভাজা হয়ে মিলেমিশে সেই যে একাকার হয়ে গেলো। তা আজ অব্দি চলছে। এক ইন্টারভিউতে বলেছিলেন এসব ট্রল তার চোখে পড়ে। কিন্তু তাই বলে তিনি থেমে থাকবেন না।

অনন্ত জলিল

তিনি সিনেমার হিরো। তার আরও অনেক গুণের জন্য প্রশংসিত। কিন্তু তার কথা বলার স্টাইল আর নানা সময়ের চিত্রনায়ক অনন্ত জলিলের কথা ভাবি। এই ভদ্রলোক যখন নিজে সিনেমা প্রযোজনা করে নিজেই সেই সিনেমার নায়ক হয়ে অভিনয় করতে শুরু করেন, তখন তাঁর কিছু বিষয়, বিশেষ করে উচ্চারণ আর বাচনভঙ্গি নিয়ে অনেক ফান কম হয়নি। ফেইসবুকে এখনো হরহামেশাই দেখা যায় তাঁর ছবি আর উক্তি দিয়ে তৈরি ট্রল।

নায়লা নাঈম

খোলামেলা ছবি স্যোসাল মিডিয়ায় প্রকাশ করে বেশ সমলোচিত তিনি। কিন্তু শুধু সমলোচিত থাকলে তো হতো। সোশ্যালমিডিয়ায় তাঁর ফ্যান ফলোয়ারের অভাব নেই। আর এতসব সমলোচনাকে কাজে লাগিয়ে নির্মাতারাও তাকে নিয়ে আসছে মডেলিং নাটক কিংবা সিনেমায়। শোবিজের সব মাধ্যমেই তাঁর হাঁটা হয়েছে। নায়লা নাঈমের বর্তমান ব্যস্ততার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ফটোশুট নিয়ে। এছাড়া শর্টফিল্ম ও ওয়েব সিরিজ নিয়েও ব্যস্ত তিনি। কয়েকটি নতুন মিউজিক ভিডিও ও আইটেম গানের ব্যাপারেও তার কথাবার্তা চলছে। ব্যাটেবলে মিললে সেগুলোও করবেন বলে জানিয়েছেন এ আলোচিত মডেল।

বাংলা ইনসাইডার অবলম্বনে

বাংলাদেশ সময় : ১১৪৩ ঘণ্টা, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭,
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এ