সামরিক শক্তিতে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান

একটি দেশের সামরিক সরঞ্জাম ও সেনাবাহিনীর দক্ষতার উপর ভিত্তি করে জানা যায় দেশটির সামরিক শক্তি সম্পর্কে। সামরিক শক্তিতে বিশ্বের কোন কোন দেশ কত নম্বরে অবস্থান করছে ২০২০ সালের সে তালিকা প্রকাশ করেছ গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার (জিএফপি)।

প্রকাশিত তালিকায় দেখা গেছে, প্রতিবছরের মত এ বছরও সামরিক শক্তিতে শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে রাশিয়া। অন্যদিকে, তৃতীয় চীন ও চতুর্থ স্থানে ভারত।

এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সামরিক শক্তিতে পাকিস্তানের অবস্থান ১৫ তে। বাংলাদেশের আরেক প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের অবস্থান ৩৫তম। তালিকায় ১৩৮টি দেশের মধ্য ৪৬ নাম্বারে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। ছোট অস্ত্র, যানবাহন, কামান ও উড়োজাহাজ এর অন্তর্ভুক্ত। ৫০টিরও বেশি মাপকাঠির ভিত্তিতে জিএফপি নামের একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ‘২০২০ : মিলিটারি স্ট্রেন্থ র্যাং কিং তালিকা প্রকাশ করে।

বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর মোট সদস্য সংখ্যা ২২৫০০০ জন। এদের মধ্যে সক্রিয় সেনা সদস্য ১৬০০০০ জন এবং সংরক্ষিত সেনা সদস্য রয়েছে ৬৫০০০ জন। সামরিক শক্তির বিচারে দুই প্রতিবেশী মিয়ানমার এবং ভারত বাংলাদেশের তুলনায় বেশ খানিকটা এগিয়ে আছে। ১৩৮টি দেশের মধ্যে সামরিক শক্তিতে সর্বশেষ, ১৩৮তম অবস্থানে আছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভুটান।

শুধুমাত্র একটি দেশের সামরিক সরঞ্জামের সংখ্যা দিয়ে এই শক্তিমত্তার বিষয়টি নির্ণয় করা হয়নি। বরং দেশটির সামরিক সরঞ্জাম কতটা বৈচিত্র্যপূর্ণ, সেটিও বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।

তালিকায় থাকা শীর্ষ ১০ দেশ এর নামগুলো হলো,
১. যুক্তরাষ্ট্র
২. রাশিয়া
৩. চীন
৪. ভারত
৫. জাপান
৬. দক্ষিণ কোরিয়া
৭. ফ্রান্স
৮. যুক্তরাজ্য
৯. মিশর
১০. ব্রাজিল

বাংলাদেশের সামরিক শক্তির চিত্রঃ
১/ হেলিকপ্টার ৬৪টি
২/ কমব্যাট ট্যাংক ৫৩৪টি
৩/ অ্যাটাক হেলিকপ্টার শুন্য টি
৪/ সাঁজোয়া যান ৯৪২টি
৫/ সেলফ-প্রপেলড আর্টিলারি ১৮টি
৬/ রকেট প্রজেক্টর ৩২টি

সামগ্রিক সামরিক শক্তি পরিমাপের ক্ষেত্রে সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনীর শক্তি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার-এর ২০১৮ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বাংলাদেশের সামরিক বাজেট ১৫৯ কোটি মার্কিন ডলার।

বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর বিমান সংখ্যাঃ
১/ এয়ারক্রাফট ১৭৩টি
২/ ফাইটার এয়ারক্রাফট ৪৫টি
৩/ ট্রান্সপন্ডার ৫৭টি

সামরিক নৌযানের চিত্রঃ
১/ মোট নৌযানের সংখ্যা ৮৯টি
২/ বিমানবাহী রণতরীর সংখ্যা শুন্য টি
৩/ ফ্রিগেট ৬টি
৪/ সাবমেরিন ২টি
৫/ প্যাট্রোল ভেসেল ৩০টি
৬/ মাইন ওয়ারফেয়ার ৫টি

চলতি বছরের মে মাসে সুইডেন-ভিত্তিক একটি গবেষণা সংস্থা, স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস এন্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউট বা সিপ্রি, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সামরিক ব্যয়ের চিত্র তুলে ধরে।

সে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ২০০৭ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সামরিক খাতে ১২৩ শতাংশ ব্যয় বেড়েছে। গবেষণা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৭ সালে বাংলাদেশে সামরিক খাতে ব্যয় ছিল প্রায় ৬,৬০০ কোটি টাকা। কিন্তু ২০১৭ সালে সামরিক খাতে ব্যয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৮,৮০০ কোটি টাকা।

তথ্য সুত্রঃ গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার্স