‘ভোট নিয়ে ছিনিমিনি হলে ওবায়দুল কাদেরকেই দায়িত্ব নিতে হবে’

আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা মন্তব্য করে করে বলেছেন যে, আগামী ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় পৌরসভা নির্বাচনে ‘ব্যক্তিত্বহীনদের দিয়ে দেশে কল্যাণকর পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়’, কোলবালিশ দেশের উপকারে আসে না; তার জন্য লাগে ভালো নেতা। আমার এসব উচিৎ কথায় আমাদের বড় বড় নেতারা আঁতকে ওঠেন। এটা কী ধরনের রাজনীতি! কাদের মির্জা মঙ্গলবার সকালে পৌর নির্বাচন উপলক্ষে ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন আয়োজিত কর্মিসভায় বক্তৃতা করছিলেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে শেখ হাসিনা আর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সাহেব ছাড়া আর ভালো নেতা কে কে আছেন? হ্যাঁ, আরও কয়েকজন ভালো নেতা আছেন। ভালো নেতা না থাকলে কি চলে! তবে, ওনারা দুজন সবচেয়ে ভালো। শেখ হাসিনা দেশের জন্য যা করছেন তার তুলনা নেই, কিন্তু দুর্নীতিবাজ হারামিরা ধ্বংস করে দিচ্ছে ওনার সব অর্জন।

কাদের মির্জা বলেন, নিজ দলের লোকজনের সমালোচনা করছি শুনে বিএনপি ভাইয়েরা আবার খুশি হইয়েন না। উনারা আরও নষ্ট। খালোদা জিয়া ঘরে ঢুকে গেছেন। প্রচার করা হচ্ছে তারেক জিয়া না কি দেশের পরিবর্তন আনবেন। কিন্তু আনবেন কীভাবে? উনি তো অপরাধীদের সর্দার! তাহলে আর লোক কোথায়! জামায়াত? জামায়াতে ইসলামের নাসের সাহেব সেদিন বললেন, ‘ভাগিনা, আমাদের দল তো সরকার গঠনের মতো অবস্থায় নেই। জামায়াতে ইসলামকে আরও ৫০ বছর কোলবালিশ হয়ে থাকতে হবে।

আসন্ন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য যারা ষড়যন্ত্র করছে তাদের সম্পর্কে সাবধান থাকার আহ্বান জানিয়ে কাদের মির্জা বলেন, ওরা হয়তো বিএনপির একজনকে মেরে দেবে, আওয়ামী লীগের একজনকেও মেরে দেবে। এভাবে একটা গোলযোগ সৃষ্টির চেষ্টা করবে। তাই আপনারা চোখ-কান খোলা রাখবেন। কাদের মির্জা কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, হত্যা, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ এসব করে ভোট নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না। এই পৌরসভায় সুষ্ঠু নির্বাচনের দায়িত্ব নিতে হবে এলাকার মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাহেবকে।

উনি আমার বড় ভাই হলেও সাফ কথা বলছি, প্রধান দায় কিন্তু এমপি হিসেবে উনার। ইলেকশন কমিশনার শাহাদাত সাহেবেরও দায়িত্ব আছে। ডিসি, এসপি, নির্বাচন অফিসার তাদেরও তো আছেই। কাদের মির্জা মনে করেন, তার স্পষ্ট ভাষণের বিরুদ্ধে পাল্টা বক্তব্য দিতে গিয়ে বড় বড় নেতারা অযৌক্তিক কথাবার্তা বলছেন। তিনি বলেন, দুদকের আসামি নজরুল ইসলাম বাবু মন্তব্য করেন, আমি নাকি এলাকার মাঠ গরম করার জন্য ‘ওরকম’ বলি। তারপর আছেন মাহবুব-উল আলম হানিফ।

উনি মন্তব্য করেন, (আমার) দায়িত্বশীলতার যথেষ্ঠ ঘাটতি আছে। তার কাছে কি জানতে পারি, কুষ্টিয়ায় যে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলল আপনি তখন কী দায়িত্ব পালন করলেন? কিছু বললেই সমালোচকরা বলেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে বলেছি। বলিনি। ২/৩ দিন বলিনি। আজ থেকে আবার শুরু করলাম। আমার বিরুদ্ধে বললে আমিও বলব। বললে কি করবে? জেলে দেবে, বহিষ্কার করবে, মেরে ফেলবে- প্রশ্ন করে তিনি শ্রোতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘মেরেই যদি ফেলে আপনারা আমার জানাজায় আসবেন।’