আমার সময় কোনো আর্থিক দুর্নীতি হয়নি: সামী হুদা

আমার সময় কোনো আর্থিক দুর্নীতি হয়নি বলে জানিয়েছেন, পি কে হালদারের সহযোগী পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের এমডি সামী হুদা। দুর্নীতি অবশ্যই হয়েছে, না হলে দুদক ডাকতো না।

তবে ২০১৬ সালের পর কোনো দুর্নীতি হয়নি। বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাকে দুটি লোনের ব্যাপারে দুদক ডেকেছিল। একটি ২১ কোটি ৬০ লাখ আর একটি ৩০ কোটি টাকার। আমি জয়েন করি ২০১৬ সালে। এই সময়ের পর থেকে কোনো আর্থিক দুর্নীতি হয়নি এই প্রতিষ্ঠানে। ২০১৭ সালে দুটো লোন দেওয়া হয় ২০১৯ সালে সেটা এডজাস্টও করা হয়েছে। লোন দুটি দেওয়ার প্রসিডিওর সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমি ইন্টারভিউ দিয়ে জয়েন করি। ২০০৯ সালের পর পি কে হালদারের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক ছিল না। আপনারা প্রমাণ করেন আমার সঙ্গে যোগাযোগ আছে কি-না।

এর আগে সকালে দুদকের প্রধান কার্যালয় সেগুনবাগিচায় ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পি কে হালদারের সহযোগী পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের এমডি সামী হুদাসহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ারের নেতৃত্বে একটি টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তারা হলেন-পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের সিইও এবং এমডি সামী হুদা, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজী আহমেদ জামাল, সিএফও মানিক লাল সম্মাদার ও হেড অব ক্রেডিট মো. মাহমুদ কায়সার।

এর আগে গত ১০ জানুয়ারি প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ‘পাচার করে’ বিদেশে পালিয়ে যাওয়া প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) চার ‘সহযোগী’কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে দুদক।

অবৈধ ব্যবসাসহ বিভিন্ন অবৈধ উত্স থেকে অর্জিত সম্পদের বেশিরভাগই বিদেশে, বিশেষ করে কানাডায় পাচার করেছেন পি কে হালদার। বর্তমানে নিজেও বিদেশে অবস্থান করছেন। তবে ঢাকায় তার নামে একাধিক বাড়ি, প্লট ও ফ্ল্যাট রয়েছে এবং নামে-বেনামে রয়েছে একাধিক প্রতিষ্ঠানও।

ক্যাসিনো-সংশ্লিষ্টতার মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে প্রথম যে ৪৩ জনের বিরুদ্ধে দুদক অনুসন্ধান শুরু করে, তাদের মধ্যে প্রশান্ত কুমার হালদার একজন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর ও ২০২০ সালের ১০ আগস্ট হাজির হতে নোটিশ পাঠিয়েছিল দুদক। তবে বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই ৩ অক্টোবর তিনি দেশ ছাড়েন বলে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়।

গত ৮ জানুয়ারি প্রশান্ত কুমার হালদারের বিরুদ্ধে ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। মামলার এজাহারে ১ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকা পাচারেরও অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে।