বহুল প্রত্যাশিত বসুন্ধরা বিটুমিনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু

বহুল প্রত্যাশিত বসুন্ধরা বিটুমিনের অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো বাজারজাত। আজ রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে কেরানীগঞ্জের পানগাঁওয়ের বসুন্ধরা বিটুমিন প্লান্ট থেকে ১০ জন স্বনামধন্য ডিলারকে মানসম্মত বিটুমিন সরবরাহ করা হয়। এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের ছেলে আহমেদ ওয়ালিদ সোবহান। এর মাধ্যমে দেশের ইতিহাসে প্রথম বেসরকারি খাতের বিটুমিন বাজারজাত শুরু হলো।

বসুন্ধরা বিটুমিনের কর্তাব্যাক্তিরা জানান, দেশে বর্তমানে ৫ লাখ টন বিটুমিনের চাহিদা রয়েছে। যার প্রায় পুরোটাই বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। অন্যেদিকে বসুন্ধরা বিটুমিন প্ল্যান্টে বছরে নয় লাখ টন বিটুমিন উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। শিগগিরই দেশের চাহিদা পূরণ করে প্রতিবেশী দেশগুলোতে রপ্তানির পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন তারা। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে উৎপাদিত আন্তর্জাতিক মানের এই বিটুমিন আমদানির চেয়ে তুলনামূলক সাশ্রয়ী দামে পাওয়া যাবে।

প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী নাফিজ ইমতিয়াজ আলম বলেন, ‘২০১৭ সালে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে আজ সফলভাবে বাণিজ্যিক কার্যক্রমের যাত্রা শুরু করেছে। বিটুমিনের নতুন নতুন পণ্য দেশের জন্য হাজির করবে বসুন্ধরা, যা আগে কখনো দেশে আসেনি। এ জন্য বিশেষায়িত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে চীনের একটি প্রতিষ্ঠান।’

তিনি আরো বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপ দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় ভূমিকা রাখতে চায়। এর জন্য মানসম্মত বিটুমিন উৎপাদন করছে বসুন্ধরা। বর্তমানে দেশের সড়কগুলোয় অখ্যাত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আমদানি করা বিটুমিন ব্যবহার করায় বছর না ঘুরতেই সড়ক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই জায়গাটায় ভূমিকা রাখতে চায় বসুন্ধরা।’

প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বসুন্ধরা বিটুমিন প্ল্যান্টে এখন সারি সারি বিটুমিনভর্তি ড্রাম। যেখানে প্রতি ড্রামে ১৫০ কেজি বিটুমিন রয়েছে। হাজার হাজার এসব ড্রাম খুব শিগগিরই চলে যাবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। বাল্ক এবং ড্রাম দু’ভাবেই এসব বিটুমিন সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে কর্তৃপক্ষের।