বাড়ি ফিরেছেন কালকিনির ‘নিঁখোজ’ মেয়র প্রার্থী সবুজ

মাদারীপুরের কালকিনিতে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মশিউর রহমান সবুজ অবশেষে বাড়ি ফিরেছেন। ‘নিঁখোজ’ হওয়ার ১৩ ঘণ্টা পর শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে তিনি বাড়ি ফেরেন বলে জানান তার স্বজনেরা।

এদিকে শনিবার বিকেলে পুলিশের গাড়িতে করে তাকে নিয়ে যাওয়ার পর কালকিনিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে তার সমর্থকরা। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, থানা ঘেরাওসহ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়।

মশিউর রহমান সবুজ বলেন, ‘ শনিবার বিকেলে হঠাৎ এসপি (পুলিশ সুপার) আমাকে ফোন করে দেখা করতে বলেন। তিনি থানার ওসিকে আমার কাছে পাঠান। তখন আমি ওসির কাছে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলার বিষয় নিয়ে এসপি আমার সঙ্গে কথা বলবেন। পরে আমি তার গাড়িতে উঠে এসপির অফিসে যাই। সেখানে যাওয়ার পর এসপি আমাকে তার গাড়িতে উঠিয়ে ঢাকায় নিয়ে যান। ’

প্রার্থীর স্বজন ও সমর্থকরা জানায়, শনিবার দুপুর ২টার দিকে কালকিনি পৌর এলাকার পালপাড়ায় নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মশিউর রহমান সবুজ। এ সময় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একটি কল দেন মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ মাহবুব হাসান। তাৎক্ষণিক সেখানে কালকিনি থানার ওসি নাছিরউদ্দিন গাড়ি নিয়ে হাজির হন। পরে সেখান থেকে সবুজকে পুলিশের গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

এরপর পরই নিখোঁজ হয় সবুজ। এরই প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কালকিনি থানা ঘেরাও করে সবুজের সমর্থকরা। টায়ার জ্বালিয়ে স্লোগান দেন বিক্ষুব্ধরা। এ সময় কালকিনি-ভুরঘাটা ও কালকিনি-মাদারীপুর আঞ্চলিক সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে বিক্ষোভ মিছিলে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় নৌকার সমর্থকরা। পরে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে আহত হয় প্রায় অর্ধশত মানুষ। ভাঙচুর করা হয় বেশকিছু দোকানপাট। আড়াই ঘণ্টা চলা সংঘর্ষে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান বলেন, ‘সবুজ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কাজে আমার অফিসে আসেন। পরে তিনি ঢাকায় যান তার ব্যক্তিগত কাজে। আমরা তাকে ঢাকায় যাওয়ার সময় সহযোগিতা করেছি। তবে সবুজ এলাকা থেকে ‘নিখোঁজ’ হয়েছে ভেবে প্রথমে তার সমর্থকরা থানার সামনে বিক্ষোভ করেন। যখন তার পরিবার সঠিক বিষয়টি জানতে পারে, তখন তারা থানা থেকে বাড়ি চলে যান। ’