লকডাউনঃ সব খোলা, বন্ধ শুধু গণপরিবহন

দেশে করোনা পরিস্থিতি আবারও খারাপ হওয়ার কারনে চলছে লকডাউন৷ তবে সীমিত পরিসরে সবই খোলা রয়েছে৷ চলছে সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কার্যক্রম৷ কিন্তু যারা এ কর্ম সম্পাদন করবেন, সেই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য রাস্তায় নেই কোনো গণপরিবহন৷

শহরজুড়ে যানবাহন বলতে সিএনজি চালিত অটোরিকশা, রিকশা৷ ফাঁকে ফাঁকে চলছে ব্যক্তিগত গাড়িও৷ তবে সেখানেও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কিনা, তা লক্ষ্য রাখছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা৷

এক সপ্তাহের লকডাউনের প্রথমদিন সোমবার (০৫ এপ্রিল) সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকাঘুরে এ দৃশ্য নজরে আসে৷ রাজধানীজুড়েই অফিসগামী মানুষের দুর্বিষহ ভোগান্তি চোখে পড়ে৷

শান্তিবাগ থেকে আগারগাঁওয়ে অফিস করেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা তানভীর পারভেজ৷

তিনি বলেন, সব কিছু খুলে রেখে কিসের লকডাউন? অফিস খোলা, কিন্তু রাস্তায় কোনো বাস নেই৷ আপনিই বলেন, শান্তিবাগ থেকে কীভাবে আমি আগারগাঁও যাবো?

এদিকে, গণপরিবহন না থাকার প্রতিবাদে সকাল ৯টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবরোধ করেন কর্মস্থলগামী সাধারণ মানুষ। এতে যানজটের সৃষ্টি হয়।

পরে সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ এসে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেয়৷ একজন অবরোধকারী বলেন, সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল করছে। অফিস খোলা, কলকারখানা খোলা৷ কিন্তু শ্রমিক-কর্মচারীদের যাতায়াতের জন্য বাস নেই৷ আমরা এখন কর্মস্থলেও যেতে পারছি না৷

করোনার সংক্রমণ বাড়ায় এর আগে রোববার (০৪ এপ্রিল) প্রজ্ঞাপন জারি করে সোমবার সকাল ৬টা থেকে আগামী রোববার (১১ এপ্রিল) রাত ১২টা পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায় সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জরুরি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে৷

সংস্থাটির পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) শীতাংশু শেখর বিশ্বাস স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত সড়কপথে সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করা হলো।

এতে আরও বলা হয়, পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা, জরুরি সেবাদানের ক্ষেত্রে এ আদেশ প্রযোজ্য হবে না। এছাড়া, বিদেশগামী/বিদেশ প্রত্যাগত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন-ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরগুলো (স্থলবন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসগুলো, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে