সর্বাত্মক লকডাউনের শুরুতে কঠোর অবস্থানে পুলিশ

আজ বুধবার থেকে করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে সারাদেশে এক সপ্তাহের সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হয়েছে। রাজধানীর সড়ক মহাসড়কগুলোতে লকডাউনের শুরুতে আজ সকাল থেকেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতা দেখা গেছে। লকডাউনের বিধিবহির্ভূত প্রতিটি গাড়ি তারা থামিয়ে বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করছেন। সন্তষজনক উত্তর দিতে না পারলে সে সমস্ত যানবহনকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তেমনি ভাবে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে পথচারীদেরকেও।

লকডাউনে ব্যবসা-বাণিজ্য সঙ্কুচিত হলেও অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে চায় সরকার। গত বছর করোনার প্রথম ধাক্কা সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে রপ্তানি খাত ও রেমিটেন্স বড় ভূমিকা রেখেছিল। এ লক্ষ্যে লকডাউনের মধ্যেই দেশের শিল্প-কারখানাগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু রাখা হচ্ছে। ব্যাংকিং সেবাও চলবে সীমিত পরিসরে। তাই এসব সেক্টরে কর্মরতদের পুলিশ সড়কে কোন বাধা দিচ্ছে না। এ লকডাউন চলবে আজ ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে আগামী ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত।

আর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা ১৩ দফা বিধিনিষেধ সংবলিত প্রজ্ঞাপনে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, গণমাধ্যমসহ (প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া) অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবাসংশ্লিষ্ট অফিস, তাদের কর্মী এবং যানবাহনও নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।

এ ছাড়া সর্বাত্মক লকডাউনে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে ‘মুভমেন্ট পাস’ দিতে পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার বিশেষ অ্যাপ চালু করলেও গণমাধ্যম কর্মীদের এই পাস লাগবে না বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ।

সরকারের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন—কৃষি উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুত্, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দর (স্থলবন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তাব্যবস্থা, ডাকসেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিস, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন—এ নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে।

এ ছাড়া ওষুধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনা, চিকিৎসেবা, মৃতদেহ দাফন বা সৎকার ইত্যাদি অতি জরুরি প্রয়োজনীয় কাজে বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে।