নিম্ন আদালতে শিশুসহ এক লাখের বেশি আসামির জামিন

গত ১১ মে থেকে সারাদেশে ভার্চুয়াল আদালতে জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হওয়ার পর থেকে গত ১৬ জুলাই পর্যন্ত মোট ৪৫ কার্যদিবসে নিম্ন আদালত থেকে শিশুসহ এক লাখের বেশি ব্যক্তিকে জামিন দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে কারাবন্দি ৬০৪০৭ জনকে জামিন দেওয়া হয়েছে। জামিন পাওয়াদের মধ্যে ৬৯৮টি শিশুও রয়েছে। আর গত দুই সপ্তাহে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন পেয়েছেন ৪০৯৮৬ জন। সবমিলে এক লাখ এক হাজার ৩শ ৯৩ জন জামিন পেয়েছেন।

আজ রবিবার সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও হাইকোর্ট বিভাগের বিশেষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, নিম্ন আদালতে গত ১১ মে থেকে গত ১৬ জুলাই পর্যন্ত ভার্চুয়াল শুনানি নিয়ে ১ লাখ ২০ হাজার ৯০৪টি জামিন আবেদন নিষ্পত্তি করে কারাবন্দী ৬০ হাজার ৪০৭ জনকে জামিন দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে গত ১২ জুলাই থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত ৫ কার্যদিবসে ১৩ হাজার ৮৬৭টি আবেদন নিষ্পত্তি করে ৫ হাজার ৭৩০ জনকে জামিন দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া গত ৫ জুলাই থেকে সারাদেশে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিভিন্ন মামলায় আসামিদের আত্মসমর্পন শুরু হয়। ওইদিন থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত ১০ কার্যদিবসের ওই আদালত থেকে ১১৯০৭টি মামলায় স্বশরীরে আত্মসমর্পনকারী ৪০ হাজার ৯শ ৮৬ আসামি জামিন পেয়েছেন। এরমধ্যে শেষ সপ্তাহে জামিন পেয়েছেন ১৭ হাজার ৫শ ৯০ জন।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে গত ২৬ মার্চ থেকে সারাদেশে নিয়মিত আদালত বন্ধ। এ প্রেক্ষাপটে ভার্চুয়াল আদালত চালু করতে গত ৯ মে আদালতে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০ নামে গেজেট প্রকাশ করে। এরপর ১১ মে থেকে ভার্চুয়াল আদালত কার্যক্রম শুরু হয়। সারাদেশে আদালতগুলোতে নির্ধারিত নিয়ম অনুসরণ করে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানি করা হচ্ছে। আর গত ৫ জুলাই থেকে স্বশরীরে আত্মসমর্পন করেও জামিন পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।