বরগুনায় ধর্ষণে জন্ম নেওয়া সন্তানের ১১ বছরের মাথায় মামলার রায়

বরগুনায় স্কুলছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের দায়ে আসামি আ. মালেককে (৩৬) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

আজ বুধবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে বরগুনার নারী ও শিশু আদালতে বিচারক হাফিজুর রহমান এ রায় দেন। আ. মালেক বরগুনা সদর উপজেলার আমতলী গ্রামের আমিন উদ্দিনের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২০০৯ সালের ৩০ জুন রাতে আ. মালেক ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। এতে ওই স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে মালেক বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে ২১ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ওই বছরের ১১ ডিসেম্বর আ. মালেক ও তার বাবা আমিন উদ্দিন ও তার মা মোসা. আলেয়া বেগমের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতা করার অভিযোগে মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী। পরে মামলার তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি মালেককে অভিযুক্ত করে তার বাবা ও মাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন বরগুনা সদর থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) আইয়ুব আলী শরীফ।

আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলা দায়েরের পর দীর্ঘ ১১ বছর ধরে আটজন সাক্ষী ও একজন সাফাই সাক্ষীর সাক্ষগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা দেন। মামলার দীর্ঘসূত্রীতার কারণে ওই স্কুলছাত্রী একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। সেই সন্তানের বয়স এখন ১১ বছর।

এ বিষয়ে আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা কাদের বলেন, মামলার রায়ে অভিযুক্ত মালেককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন আদালত। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে এই জরিমানার টাকা ভুক্তভোগী ওই নারী ও তার সন্তানকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় আইনানুগভাবে জরিমানার টাকা আদায় করে ভুক্তভোগী ও তার সন্তানকে পরিশোধের কথাও বলা হয়েছে রায়ে।