‘সুন্দর ও সুপরিকল্পিত আবাসন নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর’

২০২১ সালের মধ্যে সবার জন্য সুপরিকল্পিত আবাসন নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। ‘বিশ্ব বসতি দিবস ২০১৭’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর ও পরিকলল্পিত বাসযোগ্য নগরী গড়ে তোলাই হচ্ছে বর্তমান সরকারে অন্যতম লক্ষ্য বলে জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি)’র ১৭টি লক্ষ্যের মধ্যে ১১তম হচ্ছে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক, নিরাপদ, অভিঘাত, সহনশীল এবং টেকসই নগর ও জনবসতি গড়ে তোলা’। এসডিজির লক্ষ্য পূরণে বাংলাদেশের সকল উন্নয়ন পরিকল্পনায় গৃহায়ন ও আবাসন খাতকে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছে।

ইতোমধ্যে জাতীয় গৃহায়ন নীতিমালা, ২০১৬ প্রণয়ন করা হয়েছে। নগরীতে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য বহুতল বিশিষ্ট ভবন এবং গ্রামাঞ্চলে ভূমিহীনদের জন্য আশ্রায়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে আবাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ২ অক্টোবর ‘বিশ্ব বসতি দিবস ২০১৭’ পালন করা হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার বিগত সাড়ে আট বছরে সকল নাগরিকের জন্য আবাসন সহজলভ্য করতে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। হাতিরঝিল এলাকায় সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে রাজধানী ঢাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি জলাবদ্ধতা নিরসন, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার যোগাযোগের ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ছাড়াও বিভিন্ন অঞ্চলভিত্তিক উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ পর্যাপ্ত উন্মুুক্ত স্থান নিশ্চিত করে রাজধানীসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে নাগরিক সুবিধা সংবলিত পরিকল্পিত আবাসন ও নগরায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য পরিকল্পিত আবাসিক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

সুপরিকল্পিত গৃহায়ন ও নগরায়নের মাধ্যমে জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে এ সকল পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

তিনি সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি উন্নয়ন সহযোগীদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জলাভূমি রক্ষা করে পরিকল্পিত নগরায়ন সৃষ্টিতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২২ ঘণ্টা, ০২ অক্টোবর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসএফ