ঘুষ লেনদেনের অডিওর কণ্ঠ দুদক পরিচালক বাছিরের, তদন্তে প্রমাণিত

ডিআইজি মিজানুর রহমানের কাছ থেকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক এনামুল বাছিরের কথোপকথনের যে অডিও রয়েছে সেটাতে এনামুল বাছিরের কণ্ঠ রয়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছে দুদক। যদিও শুরু থেকে রেকর্ডের বক্তব্যগুলো কণ্ঠ নকল করে বানানো হয়েছে বলে দাবি করে আসছিলেন এনামুল বাছির। এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দুদক থেকে বরখাস্ত হওয়া পরিচালক এনামুল বাছিরকে ফের তলব করা হয়েছে।

আগামী ১০ জুলাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। এর আগে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনামুল বাছিরকে আরেকবার তলব করা হলেও অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি সেদিন হাজির হননি।

দুদক সূত্র জানায়, ডিআইজি মিজানের কাছ থেকে এনামুল বাছিরের ৪০ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগটি অনুসন্ধান করছেন দুদকের পরিচালক ফানাফিল্ল্যাহর নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম। ওই টিমের অন্য সদস্যরা হলেন, দুদকের সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান ও দুদকের সহকারী পরিচালক সালাহউদ্দিন আহমেদ।

দুদক সূত্র আরো জানায়, ডিআইজি মিজানের কাছ থেকে এনামুল বাছিরের ৪০ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের ব্যাপারে যে অডিও রয়েছে সেগুলো ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারে (এনটিএমসি) থেকে পরীক্ষা করেছে দুদক। এনটিএমসি এ ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন দিয়েছে। এনটিএমসির পরীক্ষায় ওই অডিওর কথোপকথনে যে কণ্ঠ রয়েছে সেটা এনামুল বাছিরের বলে প্রমাণ হয়েছে। ওই প্রতিবেদন সামনে রেখে এনামুল বাছিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদকের অনুসন্ধান টিম।

ডিআইজি মিজানুর রহমানের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের দায়িত্বে ছিলেন এনামুল বাছির। অনুসন্ধান চলাকালে এনামুল বাছির ডিআইজি মিজানের কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে একটি অডিও গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়। এরপর এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদকে ডিআইজি মিজানের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হয়।