রাজধানীতে যে সব ১৮ এলাকায় করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত

দেশের ৯ জেলায় এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ঘটেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩৬ জন শনাক্ত হয়েছে ঢাকায়। রাজধানীর যে সব এলাকায় করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে তারমধ্যে মিরপুর অঞ্চল সবচেয়ে এগিয়ে। মণিপুর, সেনপাড়া, মিরপুর-১০ ও মিরপুর-১১ নম্বর এই তালিকায় রয়েছে।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) ওয়েবসাইটের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী স্বাস্থ্য অধিদফতরের সমন্বিত নিয়ন্ত্রণকক্ষ এ তথ্য জানাচ্ছে।

এছাড়া রাজধানীর যে ১৮টি এলাকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- মণিপুর‌ (পাঁচজন), বাসাবো (চারজন), পুরান ঢাকার বাংলাবাজার (তিনজন), সেনপাড়া, মোহাম্মদপুর, লালমাটিয়া, হাজারীবাগ, মগবাজার, উত্তরা ও উত্তরখান (দুজন করে) এবং মিরপুর ১০ ও ১১ নম্বর, যাত্রাবাড়ী, আজিমপুর, কলাবাগান, রামপুরা, মহাখালী, বনানী-গুলশান, বারিধারা ও খিলক্ষেত এলাকায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত‌ রোগী শনাক্ত হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, বিদেশফেরত মানুষের মাধ্যমেই দেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ ঘটেছে। ৬১ জন আক্রান্তের মধ্যে ১৬ জন বিদেশফেরত। বিদেশফেরতদের মধ্যে ইতালির ৬ জন, যুক্তরাষ্ট্রের ৩ জন, সৌদি আরবের ২ জন। এছাড়াও কুয়েত, বাহারাইন, ভারত, জার্মানি ও ফ্রান্সের একজন করে রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে এই ১৬ জন দেশে আসে। এরপর থেকেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে।

শুক্রবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২ হাজার ১১৩ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ জনসহ মোট ৬১ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৩৮ জন‌ পুরুষ। ২৩ জন নারী রয়েছেন। মৃত্যুবরণ করেছেন ৬ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৬ জন। আইইডিসিআর এর অধীনে চিকিৎসাধীন ২৯ জন। এদের ২২ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাকি ৭জন বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বর্তমানে আইসোলেশন আছেন ৮২ জন।