বঙ্গবন্ধুর খুনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল মাজেদ মিরপুর থেকে গ্রেফতার

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল মাজেদকে কিছুক্ষণের মধ্যেই আদালতে তোলা হবে। সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগার প্রেরণ করা হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর মিরপুর সাড়ে ১১ থেকে ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল মাজেদকে পুলিশ গ্রেফতার করে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়

আবদুল মাজেদ ভারতে পালিয়ে আছেন বলে এর আগে বিভিন্ন সময়ে খবর এসেছে সংবাদ মাধ্যমে। তাকে সেখান থেকে পাঠানো হয়েছে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা তাকে বাংলাদেশেই পেয়েছি। হয়ত করোনার ভয়ে চলে এসেছে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যার শিকার হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দুই কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান। ১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর দায়মুক্তি আইন বাতিল করে আওয়ামী লীগ সরকার। ওই বছরের ২ অক্টোবর ধানমন্ডি থানায় বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত সহকারী মহিতুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন।

১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর তৎকালীন ঢাকার দায়রা জজ কাজী গোলাম রসুল ১৫ জনকে মৃত্যুন্ডাাদেশ দিয়ে রায় দেন। আইনি প্রক্রিয়াশেষে ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়াার রশীদ খান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ ও মুহিউদ্দিন আহমেদের ফাঁসি কার্যকর হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পলাতক ছয় খুনির মধ্যে তিনি অন্যতম। পলাতক বাকি ছয় খুনিরা হলো আব্দুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, এম রাশেদ চৌধুরী, এসএইচএমবি নূর চৌধুরী, আব্দুল মাজেদ ও রিসালদার মোসলেম উদ্দিন।