করোনায় পরিস্থিতিতে কর্মহীন যুবাদের জন্য মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প

প্রাণঘাতী করোনার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছে অসংখ্য কর্মজীবী মানুষ। করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে গ্রামে ফিরে যাওয়া যুবাদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য হ্রাসের লক্ষ্যে প্রকল্প হাতে নিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, করোনা পরিস্থিতিতে যারা গ্রামে ফিরে গেছে, তাদের অনেকেই হয়তো আগামীতে কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়বে। তাদের জন্য করোনা পরবর্তী সময়ে দ্রুত কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতে পারে, এমন প্রকল্প হাতে নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ওই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ‘করোনাত্তোর পরিস্থিতিতে যুবদের জন্য গ্রামে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের প্রস্তাবনা প্রস্তুত করে।

মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) এ প্রস্তাবের ওপর যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আখতার হোসেন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপচিালক আখতারুজ জামান খান কবির এবং মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

সভায় যুব সচিব বলেন, করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনেক মানুষ গ্রামে ফিরে গেছেন। তাদের অনেকেই হয়তো আর আগের কাজ ফিরে পাবেন না। এ পরিস্থিতিতে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে দ্রুত উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও ঋণ প্রদানের মাধ্যমে তাদের আত্মকর্মী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

এরপর যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সভায় প্রকল্পটির প্রেক্ষাপট ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন। এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো- যুবাদের শহরমুখী হওয়ার প্রবণতা রোধ করে গ্রামেই আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, কর্মপ্রত্যাশী যুবাদের আয় বর্ধনমূলক কাজে নিয়োজিতকরণের মাধ্যমে গ্রামীণ দারিদ্র্য হ্রাসে সহায়তা করা, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গ্রামপর্যায়ে কর্মসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করা, কৃষি জমির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা।

প্রস্তাবিত এ প্রকল্পের মাধ্যমে পারিবারিক, কৃষি ও জীবন দক্ষতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ (মৎস্য, পোল্ট্রি, লাইভ স্টক, কৃষি) ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ট্রেড ভেদে প্রশিক্ষণের মেয়াদ হবে ১০-২৮ কর্ম দিবস (৬০-১৬৮ ঘণ্টা)। যুব সংগঠনের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও গ্রামীণ দারিদ্র্য হ্রাসে নিয়োজিতকরণের বিষয় প্রকল্পে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।

অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সবার মতামত একীভূত করে অতি দ্রুত প্রকল্পটি দাখিলের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।