গণস্বাস্থ্যের কিট পরীক্ষার সুযোগ আপাতত নেইঃ হাবিবুর রহমান

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এখন পর্যন্ত বিশ্বের কোনো দেশকেই র‌্যাপিড কিট পরীক্ষার অনুমোদন দেয়নি। এক্ষেত্রে গণস্বাস্থ্যের র‌্যাপিড কিট পরীক্ষারও আপাতত কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ও মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মো. হাবিবুর রহমান খান। তিনি বলেন তবে ভবিষ্যতে র‌্যাপিড কিট বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত ও নির্দেশিত হলে গণস্বাস্থ্যের কিট গ্রহণে সরকারের কোনো আপত্তি থাকবে না।

সোমবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া সেল আয়োজিত ‘কোভিড-১৯ পরীক্ষার কিটস’ সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় রোববার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যের বিষয় তুলে ধরে তিনি বলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ কিটস পরীক্ষার বিষয় নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও ঔষধ প্রশাসনকে যেভাবে দোষারোপ করেছেন, তা মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রকৃতপক্ষে গণস্বাস্থ্য তাদের দাবির ক্ষেত্রে কোনো রকম প্রটোকল মেইনটেইন করেনি। গণস্বাস্থ্য তাদের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি না রেখেই ঢালাওভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে দোষারোপ করেছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে হাবিবুর রহমান খান বলেন, করোনা প্রতিরোধে খুব দ্রুতই আরও দুই হাজার চিকিৎসক ও ৬ হাজার নার্স নিয়োগ করা হবে। করোনা মোকাবিলায় সরকারের হাতে এক লাখের বেশি কিটস মজুদ আছে।

গণস্বাস্থ্যের কিটস গ্রহণ না করা ও ঔষধ প্রশাসনের অসহোযোগিতা প্রসঙ্গে ঔষধ প্রশাসনের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহাবুবুর রহমান বলেন, ঔষধ প্রশাসন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে সরকারিভাবে বারবার পরিদর্শনে গিয়েছে এবং সে জন্য গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা সরকারকে একাধিকবার ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতাপত্রও পাঠিয়েছে। যেগুলো তারিখসহ আমাদের কাছে রক্ষিত আছে। কিন্তু তারা যা মুখে বলেছেন, বাস্তবে সে কাজ করেননি। উল্টো সরকারকে জনসম্মুখে হেনস্তা করতে নানারকম বিভ্রান্তি ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন।

তিনি বলেন, গণস্বাস্থ্যের পক্ষ থেকে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। প্রকৃতপক্ষে গণস্বাস্থ্যকে সরকারিভাবে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে। কিন্তু গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র সরকারের কোনো প্রটোকল আজ পর্যন্ত মেইনটেইন করেনি। এ সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মাইদুল ইসলাম প্রধান উপস্থিত ছিলেন।