ইবোলার ওষুধে ধ্বংস হচ্ছে প্রাণঘাতী করোনা!

বিশ্বজুড়ে দাপট চালিয়ে যাচ্ছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস । এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১০,৬৪,৭৩৭ জন। মারা গেছে ৬১,৬৭০ জন। এ ভাইরাসের প্রতিষেধক অবিষ্কারের জন্য পৃথিবীর সব দেশের বিজ্ঞানীরা দিনরাত কাজ করছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমার বাণী ছাড়া তেমন কোনো উন্নতির খবর পাওয়া যায়নি।

তবে এর মধ্যে করোনা চিকিৎসায় নতুন আশার আলো দেখাচ্ছেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ রেমসিডিসিভির (Remdesivir) কার্যকরী প্রভাব দেখা গেছে। পরীক্ষামূলক প্রয়োগে সাফল্যও মিলেছে বলে কার্যত দাবি করছে হোয়াইট হাউস।

বুধবার আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশিয়াস ডিজিজের প্রধান অ্যান্থনি ফৌসি (Anthony Fauci) হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরিসংখ্যান বলছে, করোনা আক্রান্তদের ওপরে রেমসিডিসিভির প্রয়োগ করে দেখা গিয়েছে যে তারা দ্রুত সুস্থ উঠছেন।’ এক্ষেত্রে অন্য ওষুধের ক্ষেত্রে রেমসিডিসিভির প্রয়োগে সুস্থতার হার ৩০ শতাংশ বেশি বলেও দাবি করেছেন তিনি। মানব দেহের কোষের মধ্যে প্রবেশ করে ভাইরাসের বৃদ্ধি রুখে দেওয়ার মতো ক্ষমতা রেমসিডিসিভির-এর আছে বলেও দাবি করেছেন মার্কিন শীর্ষ এই বিশেষজ্ঞ।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, এই মুহূর্তে রেমসিডিসিভির ফেস থ্রি ট্রায়াল হয়েছে। আমেরিকা, ইউরোপ, এশিয়ার মোট ৬৮টি স্থানে ১,০৬৩ জন করোনা আক্রান্তের শরীরে পরীক্ষামূলকভাবে রেমসিডিসিভির প্রয়োগ করা হয়েছে। এতে উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে বলে দাবি। করোনা রোগীর ওপর রেমসিডিসিভির প্রয়োগের অনুমতি চেয়ে আবেদনও করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

আমেরিকার ন্যাশনাল ইন্সটিটিউটস অব হেলথও করোনার যে কয়েকটি ওষুধ নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছে, এরই একটি হল রেমসিডিসিভির। গিলেড সায়েন্সেসের তৈরি এই ওষুধটি ইবোলার বিরুদ্ধে পরীক্ষা করা হয়েছিল। তবে সেভাবে সাড়া ফেলতে পারেনি। পরে বিভিন্ন পশুর শরীরে চালানো বেশ কয়েকটি পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে কোভিড-১৯, সার্স ও মার্স-সহ ভাইরাস সংক্রান্ত সংক্রমণ প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় এই ওষুধ কার্যকরী।