ছুটি আরো বাড়ছে, সম্ভাবনা আগামী ১৬ মে পর্যন্ত

প্রাণঘাতী করোনার কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দেশব্যাপী চলা সাধারণ ছুটি আরো বাড়ছে। আগামীকাল রবিবারের মধ্যে নতুন ছুটির সিদ্ধান্ত জানানোর চিন্তা করছে সরকার। তবে ঠিক কতদিন ছুটি বাড়ানো হবে তা এখনো চুড়ান্ত হয়নি।

সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক সূত্রের বরাতে এসব তথ্য জানা গেছে। তারা বলছেন, পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। অন্তত ৭ দিনের ছুটি বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনায় রাখছে সরকার। এর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আগামীকাল রবিবার করোনা পরিস্থিতির কারণে গঠিত টেকনিক্যাল কমিটির বৈঠকের সুপারিশের উপর নির্ভর করবে। কিন্তু টানা ঈদ পর্যন্ত ছুটির কথা আপাতত সরকারের চিন্তায় নেই বলে জানা গেছে।

সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি সূত্র শনিবার দুপুরে বলেন, ৫ মে পর্যন্ত ছুটি চলছে। ৭ দিন ছুটি বাড়ালে ছুটি গড়াবে ১২ মে পর্যন্ত, সেদিন হয় মঙ্গলবার। এর দুইদিন পরই আবার সাপ্তাহিক শুক্র-শনিবারের ছুটি এসে যায়।

সূত্রের মতে, এ কারণে ছুটি বাড়িয়ে সাত দিনের জায়গায় ৯ দিনও হতে পারে। এতে পরের সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে ১৬ মে পর্যন্ত ছুটি মিলবে।

অপর একটি সূত্র প্রতিবেদককে জানায়, ছুটি বাড়ানো এবং স্থগিত করার দুই ধরনের একাধিক রোডম্যাপ সরকারের আগে থেকেই করা আছে। এখন সরকার কোন পথে যাবে তা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে।

এ সূত্রটির মতে, সপ্তাহে সপ্তাহে ছুটি বাড়ানোর একটি সিদ্ধান্ত সরকারের আগে থেকেই্ নেওয়া। এর সঙ্গে অন্য সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটি মিললে সেটা আরো বাড়তেও পারে।

জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন করোনাকালীন দায়িত্ব পালনে সাতক্ষীরা জেলা সফরে রয়েছেন। সেখানে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে ব্যস্থ থাকায় তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানাতে পারেননি।

ইউসুফ হারুন বলেন ‘এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তের কথা এখনো আমি জানি না’।

এদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ছুটি নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও বিষয়টিতে তাদের কাছে শনিবার দুপুর পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা আসেনি বলে জানিয়েছেন। মন্ত্রণালয়ের বিধি-৪ শাখা থেকে ছুটির প্রজ্ঞাপন জারি হয়।

এ শাখার উপসচিব সাইফুল ইসলাম শনিবার বলেন এখনো পর্যন্ত ছুটি সংক্রান্ত কাজের কোনো নির্দেশনা আমি পাইনি।

উল্লেখ্য, করোনার কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে ৬ মে পর্যন্ত টানা সরকারি ছুটি চলছে। এই টানা ৪২ দিনের ছুটি বর্ধিত হয়েছে পর্যায়ক্রমে পাঁচ দফায়। এবার ষষ্ঠ দফায় ছুটি বাড়ানোর কথা চিন্তা করছে সরকার।
:কালের কণ্ঠ