তিন কারণেই মূলত ত্রাণে অনিয়ম অনেক কমেছে : এলজিআরডি মন্ত্রী

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সারা দেশে ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রে অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে অনিয়মের অভিযোগে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, মেম্বর, জেলা পরিষদ সদস্য ও পৌর কাউন্সিলরসহ ৪৯ জনপ্রতিনিধিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে এ অনিয়ম কমছে।

মন্ত্রী বুধবার জানিয়েছেন, ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম করলেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার এবং মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ তিন কারণেই মূলত ত্রাণে অনিয়ম অনেক কমেছে।

সূত্র মতে, করোনা পরিস্থিতিতে সারাদেশে অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চালাচ্ছে স্থানীয় সরকার বিভাগের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে এসব ত্রাণ বিতরণের সময় বিভিন্ন স্থানে ত্রাণ আত্মসাতসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত অভিযুক্ত ৪৯ জনপ্রতিনিধিকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়। এর মধ্যে ১৮ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ২৯ জন ইউপি সদস্য, একজন জেলাপরিষদ সদস্য এবং একজন পৌরসভার কাউন্সিলর।

গত দেড় মাসে বহিষ্কৃত ৪১ জনপ্রতিনিধিদের একটি তালিকা সম্প্রতি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এক পত্রের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিবকে জানিয়েছেন।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, মন্ত্রণালয়ের কঠোর অবস্থানের কারণে ত্রাণে অনিয়মের ঘটনা কমেছে। সারাদেশে সাড়ে ৪ হাজারের বেশি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের মধ্যে বরখাস্তের সংখ্যাটি খুব বেশি নয়।

মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী জানান, ত্রাণে অনিয়মে অভিযুক্ত জনপ্রতিনিধিদের সাময়িক বহিষ্কারের পাশাপাশি শোকজও করা হচ্ছে। শোকজের সঠিক জবাব দিলে পদে ফিরে আসার সুযোগ পাচ্ছেন। তবে অনেকে মামলা-মোকদ্দমায় জড়িয়ে পড়ায় পুলিশি তদন্তসহ অনেক জটিলতায় পড়ছেন। অবশ্য উচ্চ আদালতের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টরা আইনি সুবিধা নিতে পারবেন।

Scroll to Top