ফায়ার সার্ভিসে প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত ২০২, সুস্থ ১৫৬

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২০২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। তার মধ্যে ১৫৬ জন কর্মী সুস্থ হয়ে নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদান করেছেন। বাকি ৪৬ জনকে পূর্বাচল মাল্টিপারপাস ফায়ার সার্ভিস সেন্টার ও রূপগঞ্জের ইউসুফগঞ্জ স্কুল (নারায়ণগঞ্জ)সহ বিভিন্ন স্থানে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।

আজ রোববার (৫ জুলাই) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসাইন বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, করোনা মোট আক্রান্তদের মধ্যে ২৫ জন সদর দপ্তর সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনের, ১৯ জন তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনের, ৩৮ জন অধিদপ্তরের বিভিন্ন শাখার, ১০ জন সদরঘাট ফায়ার স্টেশনের, ১২ জন হাজারীবাগ ফায়ার স্টেশনের, ১০ জন ঢাকা কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের, ১২ জন ডিইপি জেড ফায়ার স্টেশনের (সাভার), নয়জন সাভার ফায়ার স্টেশনের, একজন লালবাগ ফায়ার স্টেশনের, একজন মোহাম্মদপুর ফায়ার স্টেশনের, দু’জন মানিকগঞ্জ ফায়ার স্টেশনের, তিনজন ডেমরা ফায়ার স্টেশনের, চারজন খিলগাঁও ফায়ার স্টেশনের, একজন সোনারগাঁও ফায়ার স্টেশনের, সাতজন মুন্সিগঞ্জ ফায়ার স্টেশনের, একজন পলাশী ফায়ার স্টেশনের, ছয়জন সিলেট ফায়ার স্টেশনের, একজন বড়লেখা স্টেশনের ও একজন কুলাউড়া ফায়ার স্টেশনের (সিলেট), একজন কেরানীগঞ্জ ফায়ার স্টেশনের, দু’জন গাজীপুর ফায়ার স্টেশনের, একজন টঙ্গী ফায়ার স্টেশনের, একজন বাজিতপুর ফায়ার স্টেশনের (কিশোরগঞ্জ), একজন নড়াইল ফায়ার স্টেশনের, একজন বেনাপোল ফায়ার স্টেশনের, একজন মাগুরা ফায়ার স্টেশনের, একজন হরিনাকুণ্ড ফায়ার স্টেশনের (ঝিনাইদা), পাঁচজন ফুলপুর ফায়ার স্টেশনের, একজন টাঙ্গাইল ফায়ার স্টেশনের, একজন সালতা ফায়ার স্টেশনের (ফরিদপুর), চারজন রংপুর কন্ট্রোল রুমের, একজন ধনুট ফায়ার স্টেশনের (বগুড়া), একজন সৈয়দপুর ফায়ার স্টেশনের (নীলফামারী), একজন পটিয়া ফায়ার স্টেশনের, একজন লক্ষ্মীপুর ফায়ার স্টেশনের, একজন মাটিরাঙ্গা ফায়ার স্টেশনের, দু’জন কুষ্টিয়া ফায়ার স্টেশনের, তিনজন বারিধারা ফায়ার স্টেশনের, দু’জন পোস্তগোলা ফায়ার স্টেশনের ও সাতজন চট্টগ্রাম ফায়ার স্টেশনের কর্মী।

‘এখনও যারা করোনা আক্রান্ত আছেন তাদের সবাই ভালো আছেন। এদের মধ্যে ১৫৬ জনের পর পর দু’বার নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ হওয়ায় তাদের সুস্থ ঘোষণা করা হয়েছে। আক্রান্ত অন্যদের ওপর নিবিড়ভাবে নজর রাখা হচ্ছে।’