দেশে মাদকপাচার নিয়ন্ত্রণে আরও দুটি হেলিকপ্টার কেনা হচ্ছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সংসদকে জানিয়েছেন যে, অচিরেই বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ (বিজিবি)’র জন্য আরো দু’টি হেলিকপ্টার কেনা হবে। তিনি বলেন, দেশের সকল সীমান্ত পথে সকল প্রকার মাদক অনুপ্রবেশ বন্ধে বিজিবির দু’টি হেলিকপ্টার ইতিমধ্যেই ফ্লাইং পরিচালনা শুরু হয়েছে। যা বিজিবি’র অপারেশন ও লজিস্টিক সাপোর্টের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

আজ বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত লিখিত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকার দলীয় এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী। জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো জানান, দেশের সকল সীমান্ত পথে সকল প্রকার মাদক অনুপ্রবেশ বন্ধে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বিজিবি’র নিয়মিত প্রতিরোধ ব্যবস্থা ছাড়াও সম্প্রতি নতুন ৫টি বিওপি নির্মাণ করা হয়েছে। টেকনাফসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ৩১৭ কিলোমিটার বর্ডার রোডে তৈরি করা হচ্ছে এবং স্পর্শকাতর ও ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্তে স্মার্ট বর্ডার ম্যানেজমেন্টের আওতায় সীমান্তে সার্ভেইল্যান্স সিস্টেম স্থাপনের কার্যক্রম চলমান আছে।

একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানান, ভবিষ্যতে দেশের সকল সীমান্ত পথে সকল প্রকার মাদক অনুপ্রবেশ বন্ধে ভিশন-২০৪১ এর আওতায় বিজিবি’র ১৬৮টি নতুন বিওপি নির্মাণ, সকল সীমান্তে বর্ডার সার্ভেইল্যান্স সিস্টেম এবং সীমান্ত সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। যে সকল সীমান্তে নদীপথ রয়েছে, সেখানে বিশেষ করে টেকনাফ এবং সুন্দরবন অঞ্চলে বিজিবি’র জন্য ৪টি অত্যাধুনিক হাই স্পিড ইঞ্জিন বোট ক্রয় করা হয়েছে। উপকূলীয়, চরাঞ্চল, দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলের বিওপিসমূহের জন্য ১৫২টি এটিভি (অল টেনিয়ন ভেহিক্যাল) ক্রয় করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরো সব সরঞ্জামাদি কেনা হবে। এছাড়া স্থল বন্দর ও ইমিগ্রেশন চেক পয়েন্ট মাদক দ্রব্যের অনুপ্রবেশ বন্ধে বিজিবি’র দু’টি ভেহিক্যাল এক্সরে স্ক্যানার ও দু’টি ব্যাগেজ স্ক্যানার স্থাপন করা হয়েছে। যা পর্যায়ক্রমে সকল স্থল বন্দর ও ইমিগ্রেশন চেক পয়েন্টে স্থাপন করা হবে।

মন্ত্রী আরো জানান, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল সীমান্ত ও সমুদ্র এলাকায় মাদকের অনুপ্রবেশ রোধে টেকনাফ, শাহপুরী, সেন্টমার্টিন, ইনানী, হিমছড়ি ও বাহারছড়া এবং দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে দোবেকী ও কৈখালী এলাকায় হাইস্পিড বোটের সাহায্যে টহল দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া মাদকের অনুপ্রবেশ রোধে কোস্ট গার্ডের গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। সীমান্তবর্তী এসকল এলাকা দিয়ে সকল ধরনের মাদকের অনুপ্রবেশ রোধসহ সকল প্রকার অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধে কোস্ট গার্ড নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছে এবং অনেক সাফল্য অর্জন করেছে। এছাড়াও, উপকূলীয় এলাকার আইন-শৃঙ্খলা উন্নয়নের লক্ষ্যে কোস্ট গার্ড অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সমন্বয়কতঃ সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে নিয়মিত এবং প্রয়োজনে বড় ধরনের যৌথ অভিযান পরিচালনা করছে।