জিয়া সংবিধান সংশোধন করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দায়মুক্তি দিয়েছিলেনঃ মহিবুল হাসান

কোনো মানুষকে হত্যা করলে তার আত্মীয়-স্বজনের বিচার পাওয়ার অধিকার আছে বলে জানিয়েছেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। কিন্তু জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। শিশু রাসেলকে হত্যা করা হয়েছিল। গর্ভবর্তী মহিলাদের হত্যা করা হয়েছিল। এই হত্যার পরে আমাদের জন্য একটি জাতীয় লজ্জার বিষয় সংবিধান সংশোধন করে জিয়াউর রহমান খুনি ফারুক, ডালিম, রশিদ গংকে দায় থেকে মুক্তি দিয়েছিল। পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো দেশে সংবিধান সংশোধন করে কোনো হত্যার বিচার পথ রোধ করা হয়নি। বাংলাদেশে জিয়াউর রহমান সে কাজটি করেছিলেন।

আজ বৃহস্পতিবার গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় শোকদিবস পালন উপলক্ষে প্রস্ততিমূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কয়েকজন খুনির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। আরো কয়েকজন খুনি দেশ বিদেশে পালিয়ে আছে। তারা আমাদের জাতির জন্য হুমকি এবং ঝুঁকি। তাই আমি আপনাদেরকে অনুরোধ করবো সেই দিন (১৫ আগস্ট) যেভাবে শোককে শক্তিকে পরিণত করে জাতির জনকের হত্যার বিচার চেয়ে ছিলেন, আজ সেভাবে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করবেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিদিন ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্র আমরা রুখে দেব। যতদিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের একজন নেতা-কর্মীও বেঁচে থাকবেন ততোদিন কোনোভাবেই ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হবে না।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে প্রস্ততিমূলক সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ বক্তব্য রাখেন।

এ ছাড়া জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে এ প্রস্ততিমূলক সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক, কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার, পৌর মেয়র হাজী মো. কামাল হোসেন শেখ, সাবেক পৌর মেয়র এইচ এম অহিদুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম হুমায়ুন কবির, ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম বাদল, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান হাজরা, জেলা পরিষদ সদস্য মাজাহারুল আলম পান্না, শ্রমিক লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম তালুকদারসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।