দেশেই হবে আন্তর্জাতিক মানের রাসায়নিক পরীক্ষা

আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করে বিভিন্ন রাসায়নিকের পরিমাপ নিয়ে গবেষণায় সংবিধিবদ্ধ সংস্থা প্রতিষ্ঠায় জাতীয় সংসদে \’বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস বিল-২০২০\’ পাস হয়েছে। এখন থেকে বিদেশিরাও চাইলে বাংলাদেশ থেকে রাসায়নিক পরীক্ষা করাতে পারবে।

আজ মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে বিল পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। পরে বিলটির ওপর বিরোধী দলের দেওয়া জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। একইসঙ্গে বিলের উপর সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করা হয়। গত ২৩ জুন বিলটি সংসদে উত্থাপন করা হয়।

বিলটি পাসের আগে বিরোধী দলের জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাবের জবাবে সংসদে মন্ত্রী বলেন, আইনটি প্রবর্তন হলে একটি বিশ্বমানের ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য রাসায়নিক পরিমাপ সেবার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

রাসায়নিকের পরিমাপ পরীক্ষা করতে ২০১২ সালের ১০ জুন বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) অধীনে সর্বোচ্চ জাতীয় রেফারেন্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে ডেজিগনেটেড রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস (ডিআরআইসিএম) চালু করা হয়। এটি বাংলাদেশে রাসায়নিক পরিমাপ বিজ্ঞানে গবেষণায় সর্বপ্রথম ও একমাত্র রেফারেন্স ইনস্টিটিউট। যেখানে ওষুধ শিল্পসহ অন্যান্য শিল্পে রাসায়নিক পরিমাপ বিজ্ঞান বিষয়ে সব গবেষণার সুযোগ রয়েছে।

সংসদে পাস হওয়া নতুন আইনে এটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীন সংবিধিবদ্ধ ইসস্টিটিউটটে রূপান্তরিত হবে, যার প্রধান হবেন মহাপরিচালক। পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হবেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব। এই প্রতিষ্ঠান পরিমাপ ও রেফারেন্স পরিমাণ সেবা দেবে।

এছাড়া প্রফিসিয়েন্সি টেস্টিং ও ইন্টার-ল্যাবরেটরি কমপ্যারিজন সেবা দেবে। প্রতিষ্ঠানটি রাসায়নিক পরিমাপ বিজ্ঞান সংক্রান্ত সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ অন্যান্য আঞ্চলিক সংস্থা এবং সমধর্মী দেশীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করবে।

রিপোর্ট উত্থাপন
এদিকে সংসদ অধিবেশনের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন ও জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ নোটিশের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এরপর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-এর বার্ষিক প্রতিবেদন ২০১৮-২০১৯ সংসদে উত্থাপন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার। পরে আইন প্রণয়ন কার্যক্রম শুরু হয়।

গত ৬ সেপ্টেম্বর থেকে চলতি সংসদের নবম অধিবেশন শুরু হয়।