আমার ভাইয়েরা আগেই অব্যাহতি পেয়েছিল: জেনারেল আজিজ

সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ দাবি করে বলছেন যে, সাক্ষাতের সময় আমার ভাইদের সাজা ছিল না, তারা আগেই অব্যাহতি পেয়েছিল। আজ মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে আর্মি এভিয়েশনের বেসিক কোর্সের অ্যাওয়ার্ড সেরেমনি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ কথা বলেন তিনি।

সেনাপ্রধান বলেন, ‘আমার ভাইয়ের সঙ্গে মালয়েশিয়ায় যখন দেখা করেছি- তখন তার নামে কোনো মামলা ছিল না। যে একটা ষড়যন্ত্রমূলক মামলা ছিল সেটা থেকে অলরেডি অব্যাহতি প্রাপ্ত ছিল। সে অব্যাহতি মার্চ মাসে হয়েছিল। আমি এপ্রিল মাসে গিয়েছিলাম। ‘

‘এখানে আল জাজিরা যে স্টেটমেন্ট দিয়েছিল সেটা সম্পূর্ণ অসৎ উদ্দেশে দিয়েছে। কারণ সেদিন আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে না কোনো সাজা ছিল, না তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিল। তার আগেই তাদের বিরুদ্ধে যে মামলা ছিল সেটা থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। ‘

প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের আজিজ আহমেদ বলেন, ‘আমি আপনাকে প্রশ্ন করি, আপনার বিরুদ্ধে মামলা আছে, সাজা আছে। কিন্তু আপনি যদি গতকাল সে সাজা যদি অব্যাহতি পেয়ে থাকেন, আপনার বিরুদ্ধে যদি আর কোনো মামলা রানিং না থাকে আপনাকে কি ফিউজিটিভ (পলাতক) বলা যাবে আজকে। আপনাকে কি বলা যাবে আপনি সাজাপ্রাপ্ত। কারণ যখন আপনি অব্যাহতি পেয়ে যান কোন একটা চার্জ থেকে, তার পরের দিন থেকে আপনি যেকোনো মুক্ত একটা নাগরিকের মতো। ‘

‘আমার ভাইদের সম্পর্কে যে অপপ্রচারগুলো এসেছে সেটার স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া আছে। এবং খুব শিগ্রই আমার পরিবারের পক্ষ থেকে আপনাদের সংবাদ সম্মেলন করে সব কিছু জানানো হবে। ‘

সেনাপ্রধান বলেন, ‘এতটুকুই আমি আপনাদের বলতে পারি- আমি সেনা প্রধান হিসেবে সেনা বাহিনীর ভাবমূর্তি, আমার অবস্থান, আমার দায়িত্ব সম্পর্কে আমি সম্পূর্ণ সচেতন। কি করলে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে পারে, কী করলে সেনাবাহিনীর, আমার যে দায়িত্ববোধ, আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সে সম্পর্কে আমি সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল। ’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান বলেন, ‘বিভিন্ন সময় আমার বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের সময় আমার যে চিত্র ধারণ করা হয়েছে আমি সেনা প্রধান হিসেবে মনে করি আমি যখন অফিসিয়াল ক্যাপাসিটিতে কোথাও থাকবো তখন আমার নিরাপত্তা সেটা অফিসিয়ালি নিশ্চিত করা হয়ে থাকে। আমি যেখানেই হোস্ট কান্ট্রি করে থাকে। সেখানে আমরা অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। কিন্তু যখন আমি কোথাও আমার ব্যক্তিগত সফরে থাকি তখন অফিসিয়াল প্রটোকল ব্যবহার করা আমি সমিচিন মনে করি না। আমি মনে করি সেটা অপচয়। ‘