শহিদ ইসলাম পাপুলের এমপি পদ বাতিল

কুয়েতের আদালতে সাজাপ্রাপ্ত বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের সংসদ সদস্য (এমপি) পদ বাতিল করে তার সংসদীয় আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে।

আজ সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে তার সংসদ সদস্য পদ বাতিল করে লক্ষ্মীপুর-২ আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান স্বাক্ষরিত লেজিসলেটিভ সাপোর্ট উইংয়ের আইন শাখা-২ এর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কুয়েতের ফৌজদারি আদালতে গত ২৮ জানুয়ারি ঘোষিত রায়ে নৈতিক স্থলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে চার বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ায় ২৭৫ লক্ষ্মীপুর-২ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রায় ঘোষণার তারিখ থেকে তার আসন (লক্ষ্মীপুর-২) শূন্য হয়েছে। গণপ্রজতন্ত্রী বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালী-বিধির ১৭৮ (৪) বিধি অনুযায়ী লক্ষ্মীপুর-২ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যের আসন শূন্য সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হলো।

সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সংসদ সচিবালয়ের এ বিজ্ঞপ্তিটি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।

গত ২৮ জানুয়ারি নাগরিকত্ব বিক্রি ও মানব পাচারের অভিযোগের মামলায় লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শহিদ ইসলাম পাপুলের ৪ বছরের কারাদণ্ড দেন কুয়েতের আদালত।

একইসঙ্গে রায়ে তাকে ৫৩ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়। বর্তমানে পাপুল কুয়েতের কারাগারে রয়েছেন।

এর আগে ২৬ জানুয়ারি পাপুলের সম্পদের তথ্য চেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে চিঠি পাঠিয়েছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গত ২০২০ সালের ৬ জুন কুয়েতের আদালতের আদেশে মানবপাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হন সংসদ সদস্য শহিদ ইসলাম পাপুল। একই সময়ে পাপুল ও তার পরিবারের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে অস্বাভাবিক লেনেদেনের তথ্যের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।

একই বছরের ২৭ ডিসেম্বর পাপুলের পরিবারের ৮টি ব্যাংকের ৬১৭টি ব্যাংক হিসাব, ৩০ একরের বেশি জমি, গুলশানের ফ্ল্যাটসহ দেশে থাকা সম্পদ জব্দ করে দুদক। তার আগে ১১ নভেম্বর অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এমপি পাপুল, তার স্ত্রী এমপি সেলিনা ইসলাম, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম ও শ্যালিকা জেসমিন প্রধানকে আসামি করে মামলা করে দুদক।

সেই সঙ্গে কুয়েতে পাপুলের কত সম্পদ রয়েছে, তার তথ্য চেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কুয়েতে চিঠি পাঠায় দুদক। এতে দেশে পাপুলের বিরুদ্ধে মামলা ও তদন্তের বিষয়ে উল্লেখ করে কুয়েতে থাকা পাপুলের কোম্পানি, স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ, ব্যাংক হিসাবের তথ্য ও প্রয়োজনীয় নথিপত্র চাওয়া হয়।