ডিএমপি কমিশনার টিকা নিয়েও করোনায় আক্রান্ত

ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম টিকা নেওয়ার পরও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি বর্তমানে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। চিকিৎসকরা জানান, শারীরিক অন্য কোনো জটিলতা নেই ও এন্টিবডি লেভেলও বেশ ভালো কমিশনারের। ডিএমপি কমিশনার গত ৬ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী করোনা ভ্যাকসিন প্রদানের প্রথম দিন ডিএমপি কমিশনারের ভ্যাকসিন নেওয়ার মধ্য দিয়ে পুলিশ সদস্যদের মধ্যে করোনা ভ্যাকসিন কর্মসূচি শুরু হয়। টিকা নেওয়ার ২৯ দিনের মাথায় করোনা শনাক্ত হয় ডিএমপি কমিশনারের।

রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালের ডা. ইমদাদুল হক এ ব্যাপারে বলেন, ‘করোনা আক্রান্ত হলেও ডিএমপি কমিশনারের অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা নেই।’

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, মঙ্গলবার পর্যন্ত পুলিশের ১৯ হাজার ১১৪ জন করোনায় আক্রান্ত হন। তাদের মধ্যে পুলিশ সদস্য ১৬ হাজার ৫৮৯ জন ও র‌্যাব ২ হাজার ৫২৫ জন। ডিএমপির ৩ হাজার ২১৫ জন সদস্য করোনায় আক্রান্ত হন। এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পুলিশ-র‌্যাবের ৮৬ জন সদস্য মারা গেছেন। তাদের মধ্যে র‌্যাব সদস্য ৬ জন। পুলিশের আক্রান্ত সদস্যদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৮ হাজার ৯৫৮ জন।

উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে টিকা নেওয়ার পরও করোনায় আক্রান্ত হন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন এবং স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার সাজ্জাদ হোসেন। টিকা নেওয়ার ১২ দিন পর ত্রাণসচিবেরও করোনা শনাক্ত হয়। আর ১৬ দিনের মাথায় করোনা শনাক্ত হয় স্বাস্থ্যকর্মী সাজ্জাদ হোসেনের। তা ছাড়া টিকা নেওয়ার পর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের (ডিএফপি) মহাপরিচালক গোলাম কিবরিয়াও করোনায় আক্রান্ত হন। গত ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি টিকা নেন। টিকা নেওয়ার ৬ দিন পর করোনায় আক্রান্ত হন তিনি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার কারণে কারও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া বা পজিটিভ শনাক্ত হওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু করোনাভাইরাসের দু’টি ডোজ শেষ হওয়ার পরও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হতে আরো দুই সপ্তাহ সময় লাগে। সেই পর্যন্ত সতর্ক না থাকলে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। তাই ভ্যাকসিন গ্রহণের আগে ও পরে মাস্ক ব্যবহারসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

আমেরিকার রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) ঘোষণা করেছে, পুরো ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়ার পর মানুষ কিছুটা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে। যাদের পুরোপুরি টিকা নেওয়া শেষ হবে তারা টিকার ডোজ শেষ হওয়া অন্যদের সঙ্গে এবং টিকা নেননি এমন ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। টিকার শেষ ডোজ নেওয়ার দুই সপ্তাহ পর তারা করোনার বিরুদ্ধে সুরক্ষিত বলে জানায় সিডিসিও।