সরকার উপবৃত্তির পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের টিউশন ফিও দেবে

ইতিপূর্বে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দিতো সরকার, এবার থেকে তাদের টিউশন ফিও দেবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য আবেদন চাওয়া হয়েছে দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর কাছ থেকে। সমন্বিত কর্মসূচির আওতাভুক্ত নয়, এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এ কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত হলে শিক্ষা বোর্ড থেকে পাঠদানের অনুমতি বা স্বীকৃতি নিতে হবে। সরকারি-বেসরকারি, এমপিওভুক্ত বা নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও করতে পারবে আবেদন। আগামী ১৮ মার্চ থেকে শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে।

উল্লেখ্য, এ সহায়তা সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচির আওতায় দেওয়া হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাসহায়তা ট্রাস্ট থেকে গত মঙ্গলবার এই আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই সুবিধা দেওয়া হবে উপবৃত্তি পাওয়া সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি, টিউশন ফি ও অন্যান্য সুবিধা পাওয়ার জন্য সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচির আওতায় আসতে হবে। উপবৃত্তি কর্মসূচির আওতাভুক্ত হতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ১৮ মার্চের মধ্যে আবেদন করতে হবে। তবে যেসব প্রতিষ্ঠান কোনো উপবৃত্তি প্রকল্পের আওতাভুক্ত আছে, তাদের আবেদন করার প্রয়োজন নেই। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত অধ্যয়নরত অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি, টিউশন ফি ও অন্যান্য সুবিধা দিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচির আওতাভুক্ত করতে আবেদন আহ্বান করা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রয়োজনীয় তথ্যসহ আবেদন জরুরিভাবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তরে জমা দিতে হবে। কর্মকর্তাদের তা যাচাই-বাছাই করে ১৮ মার্চের মধ্যে স্কিম পরিচালকের দপ্তরে পাঠাতে বলা হয়েছে। আবেদন হার্ড কপি ও ই-মেইলে পাঠাতে হবে।

দেশের তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া অন্য ৬১ জেলা সদরের পৌরসভা এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচির আওতাভুক্ত ছিল না। বর্তমানে সব জেলা সদরের পৌর এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্মসূচির আওতাভুক্ত হবে। তবে এ ক্ষেত্রে উপজেলা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তারা ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ডের জন্য তাদের তালিকা স্কিম পরিচালকের কাছে পাঠাবে। যেসব প্রতিষ্ঠান কোনো উপবৃত্তি প্রকল্পের আওতাভুক্ত আছে, তাদের আবেদন করার প্রয়োজন নেই। এই কর্মসূচির আওতায় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত হবে না। তবে বিএম শাখার শিক্ষার্থীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলেও আদেশে বলা হয়েছে।

আদেশে সরকারি-বেসরকারি, এমপিওভুক্ত বা নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে বলে জানানো হয়েছে। তবে, সমন্বিত কর্মসূচির আওতাভুক্ত নয়, এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এ কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত হলে শিক্ষা বোর্ড থেকে পাঠদানের অনুমতি বা স্বীকৃতি নিতে হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

যেভাবে আবেদন করা যাবে:
সমন্বিত উপবৃত্তির অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির অনুমোদনের রেজল্যুশন, শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক অনুমতি বা স্বীকৃতিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি এবং চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। স্কিম পরিচালক বরাবর ১৮ মার্চের মধ্যে এ আবেদন পাঠাতে হবে।

প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি না থাকলে সহযোগিতা চুক্তিপত্রের নমুনা কপিতে সভাপতির স্বাক্ষরের জায়গায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মেট্রোপলিটনের ক্ষেত্রে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা স্বাক্ষর করবেন। সহযোগিতা চুক্তিপত্রের নমুনা কপি উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তরে অথবা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাসহায়তা ট্রাস্টের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। আগে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনা মেট্রোপলিটন এলাকার যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কোনো উপবৃত্তির প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত ছিল না, সেগুলোও কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে।

আবেদনের হার্ড কপি ডাকযোগে শিক্ষা ভবন, ২য় ব্লক, ৫ম তলা, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ, ঢাকা ১০০০ এবং আবেদনের সফটকপি (hsp.sstipend@gmail.com) ই-মেইল ঠিকানায় পাঠাতে হবে।