দৈনন্দিন জীবনে রবীন্দ্রনাথ আমাদের প্রেরণার উৎস: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ জানিয়েছেন যে, ‘আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রেম-বিরহ, আনন্দ-বেদনা, আশা-নিরাশা, সুখ-দুঃখ, সংকট-সাফল্যে রবীন্দ্রনাথ আমাদের প্রেরণার উৎস। তাই এ করোনাকালেও রবীন্দ্রনাথ আমাদের কাছে অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক।’

আজ শনিবার (৮ মে) কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মন্ত্রী তার বাণীতে এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যকে সমগ্র বিশ্বে পরিচিত করেছেন। বাংলা সাহিত্যের এমন কোনো শাখা নেই যেখানে তার পদচারণা নেই। বাঙালির অস্তিত্ব ও সংস্কৃতির সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ওতপ্রোতভাবে মিশে আছেন। বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনটিতেই আমরা তার রচিত ‘এসো হে বৈশাখ’ গানটির মাধ্যমে নতুন বছরকে বরণ করে নিই।

তিনি বলেন, বাঙালির চিন্তা, চেতনা ও অনুভূতিকে সার্থকভাবে প্রতিফলিত করে বলেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটিকে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের মর্যাদা দিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যকর্ম বিশেষত কবিতা ও গান বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে নিরন্তর উদ্দীপ্ত রেখেছিল। বাঙালির মানসপটে রবীন্দ্রনাথ সদাই বিরাজমান। তিনি বলে গেছেন সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কথা।

কে এম খালিদ তার বাণীতে বলেন, করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিস্তার রোধে সরকার আরোপিত বিধি-নিষেধের আওতায় বর্তমানে জনসমাগমপূর্ণ সব অনুষ্ঠান ও কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সেজন্য দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে ঘরে বসেই ডিজিটাল পদ্ধতিতে রবীন্দ্র জন্মবার্ষিকী উদযাপন করার জন্য সবাইকে আহ্বান জানাই। পরিশেষে রবীন্দ্রনাথের ভাষায় বলতে চাই- ‘নাই নাই ভয়, হবে হবে জয়, খুলে যাবে এই দ্বার’। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬০তম জন্মবার্ষিকীতে আমি তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। আসুন, আমরা সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি।