সীমান্তে আর হত্যাকাণ্ড ঘটবে না বলে ভারত কথা দিয়েছে : ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কয়েকদফা বৈঠক হয়েছে। ভারত সরকার কথা দিয়েছে- সীমান্তে আর হত্যাকাণ্ড ঘটবে না। আশা করি দেশটির সরকার এই বিষয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে। তিনি আজ সোমবার নিজ বাসভবনে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।

সীমান্ত নিয়ে বিএনপি নেতাদের কথা বলা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা ভুলে গেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিনের সীমান্ত সমস্যার সমাধান হয়েছে শেখ হাসিনার হাত ধরেই। তারা মুখে বিরোধিতা করে ফেনা তুললেও ভারতের সাথে নতজানু অবস্থান নিয়েছিল, যা তাদের সময়ে দেশবাসী দেখেছে।

বহু বছরের পুরনো ছিটমহল বিনিময় এবং সীমান্ত সমস্যা শেখ হাসিনার সাহসিকতা ও কূটনৈতিক দক্ষতায় আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি তাদের শাসনামলে কোনো সমস্যার সমাধানতো করতে পারেইনি বরং প্রতিবেশী দেশের সাথে অবিশ্বাস আর আস্থাহীনতার দেয়াল তুলেছে। বর্তমান সরকার দেশ ও জনগণের স্বার্থকে সমুন্নত রেখে অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে তৈরি করেছে সম্পর্কের সেতুবন্ধন।

তিনি বলেন, ভারতে সরকার পরিবর্তনের পর যারা (বিএনপি) দেশটির দূতাবাসের বন্ধ দরজায় ফুল আর মিষ্টি নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন, তার চেয়ে নতজানু নীতি আর কি হতে পারে? আওয়ামী লীগের হাতেই এদেশের স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্ব নিরাপদ।

এসময় ওবায়দুল কাদের জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে শেখ রেহানার ৬৭তম শুভ জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, সাদমাটা জীবন-যাপনে অভ্যস্ত শেখ রেহানা লন্ডনে মেট্রো ও বাসে যাতায়াত করেন। চাকরি এবং পরিশ্রম করেই সন্তানদের মানুষ করেছেন তিনি। তার ত্যাগ, প্রেরণা এবং অন্তহীন সমর্থনে শেখ হাসিনা আজ সফল রাষ্ট্রনায়ক।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব বঙ্গবন্ধুর জীবনে যে ভূমিকা পালন করেছিলেন, শেখ রেহানাও বড় বোন শেখ হাসিনার জীবনে সে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি (শেখ রেহানা) প্রচার বিমুখ। কখনও লাইম-লাইটে আসেন না। দেশ জাতি এবং গণতন্ত্রের জন্য নীরবে কাজ করে যাচ্ছেন।