প্রথম পরীক্ষা নিয়ে যা বললেন সিইসি হাবিবুল আউয়াল

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল জানিয়েছেন।

আজ (বুধবার) কুমিল্লা সিটি করপোরেশনসহ (কুসিক) দেশের ১৩২টি ইউনিয়ন পরিষদ, ৫টি পৌরসভা, ৪টি উপজেলা পরিষদের সাধারণ ও উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়েছে। দায়িত্ব নেওয়ার পর কাজী হাবিবুল আউয়ালের নির্বাচন কমিশন প্রথমবারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। তার মধ্যে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ ছিল এই ইসির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ এবং প্রথম পরীক্ষা।

ভোটগ্রহণ শেষে সিইসি ব্রিফিংয়ে আসেন। কেমন হয়েছে নির্বাচন তার তথ্য তুলে ধরেন। বলেন, ‘সার্বিক দিক বিবেচনায় বলা যায়, কুমিল্লা সিটিতে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। ভোটারদের কাছ থেকেও তেমন কোনো অভিযোগ আসেনি। এ সিটিতে প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে। খুব বিরূপ মন্তব্যও আমরা পাইনি।’

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে বুধবার বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে সিইসি ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।

ধীরগতিতে ভোটগ্রহণ নিয়ে অভিযোগ ওঠার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) স্লো ছিল না। যারা বয়স্ক ভোটার, তাদের একটু সমস্যা হয়েছে। ফলে ভোটগ্রহণে কিছুটা ধীরগতি ছিল।’

এ সময় সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহারের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে কাজী হাবিবুল আওয়াল কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ‘এমপি বাহাউদ্দীন বাহারের বিষয়টি পাস্ট অ্যান্ড ক্লোজড। এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’

কোনো সংঘাত-সহিংসতা ছাড়াই কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এবং দেশের প্রায় দুইশ উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করেছে হাবিবুল আউয়ালের কমিশন।

বুধবার সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয়ে শেষ হয় বিকাল ৪টায়। উৎসবমুখর পরিবেশেই স্থানীয় সরকারের এই ধাপের নির্বাচন হয়েছে।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এবং বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের কয়েকটি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণে গতি কিছুটা স্লো ছিল বলে অভিযোগ করেছেন প্রার্থীরা। এছাড়া মেশিন ঠিকমতো কাজ না করায় কয়েকটি কেন্দ্রে ভোট শুরু হতে দেরি হয়েছে। এ কারণে ভোগান্তিতে পড়েন ভোটাররা।

কুমিল্লা সিটিতে দুই-একটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণে দীর্ঘসূত্রিতার কারণে অনেকে দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে শেষ পর্যন্ত ভোট না দিয়েই বাড়ি চলে গেছেন।

এ ছাড়া ১৭৬টি ইউনিয়ন পরিষদ, পাঁচটি পৌরসভা ও চারটি উপজেলা পরিষদে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে।