আজ মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর)।

মঙ্গলবার (২৮শে নভেম্বর) দিনটি উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় তার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন ও আজিমপুর মেয়র মোহাম্মদ হানিফ জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনসহ সকল স্তরের মানুষ এ শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া মাহফিলে অংশ নিবেন। কর্মসূচীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।

মঙ্গলবার সকালে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের দপ্তর সম্পাদক জাহিদ আলম ইমন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি জানান, মেয়র মোহাম্মদ হানিফের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পৃথক বাণী দিয়েছেন।

১৯৪৪ সালের ১লা এপ্রিল পুরান ঢাকার আবদুল আজিজ ও মুন্নি বেগম দম্পতির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন মোহাম্মদ হানিফ। ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী হিসেবে রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৬৫ সালে বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিবের দায়িত্ব পেয়ে এসময় ছয়দফা মুক্তি সনদ প্রণয়ন ও প্রচারে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। ১৯৬৭ সালে তার বহুমুখী প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে মেয়ে ফাতেমা খাতুনকে মোহাম্মদ হানিফের সঙ্গে বিয়ে দেন ঢাকার শেষ সরদার আলহাজ্ব মাজেদ সরদার। এ দম্পতির এক ছেলে ও দুই কন্যাসন্তান রয়েছে। তার ছেলে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান ও মহান মুক্তিযুদ্ধে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন মোহাম্মদ হানিফ। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ছেড়ে দেওয়া ঢাকা-১২ আসন থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে হুইপের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৬ সালে তিনি ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৪ সালে ৩০ জানুয়ারি ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন মোহাম্মদ হানিফ। ১৯৯৬ এর মার্চে স্বৈরাচার বিরোধী গণআন্দোলনে \’জনতার মঞ্চ\’ তৈরি করে তৎকালীন বিএনপি সরকারের পতন ঘটান এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনে ভূমিকা রাখেন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে গ্রেনেড হামলায় শেখ হাসিনাকে বাঁচাতে গিয়ে মারাত্মক আহত হন। ২০০৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মুক্তাঙ্গনে এক সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। পরে ২৮ নভেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি ।

Scroll to Top