সরকারি চাকরি পাচ্ছেন তোফা-তহুরার বাবা

যমজ দুই বোন তোফা ও তহুরার বাবা বাচ্চু মিয়াকে সরকারি চাকরি দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের সভাকক্ষে তোফা-তহুরাকে বিদায় দেয়ার সময় মন্ত্রী এ আশ্বাস দেন।

পিঠ থেকে কোমরের নিচ পর্যন্ত পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে জন্মেছিল তোফা-তহুরা। জন্ম থেকেই ছিল প্রাণের ঝুঁকিতে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের দীর্ঘ প্রচেষ্টায় এ দুই শিশু ফিরে পাচ্ছে সুন্দর জীবন।

শিশু সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহনূর ইসলাম বলেন, রোববার তোফা ও তহুরাকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢামেক হাসপাতালের পরিচালকের সভাকক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বিদায় দেন এ দুই শিশুকে। ডা. শাহনূর ইসলাম আরও বলেন, তোফা ও তহুরা দুজনের অবস্থাই আগের চেয়ে ভালো। শনিবার থেকে তারা একটু একটু বসতে পারছে।

তিনি বলেন, প্রতি মাসে ফলোআপের চিন্তাভাবনা রেখে তাদের বাড়ি পাঠানো হচ্ছে। ছয় মাস পর তাদের আরেকটি অপারেশন করা হবে। ডা. শাহনূর বলেন, তাদের ৬ মাস পর অপারেশনের জন্য ভর্তি করতে বলব। এর মধ্যে কোনো সমস্যা হলে ফোনে জানাবে এবং সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে চলে আসবে।

তিনি বলেন, বাচ্চা দুটি যাতে সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠে এজন্য তাদের পুনর্বাসন প্রয়োজন। আর এতে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।

২০১৬ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর যমজ তোফা-তহুরার জন্ম দেন সাহিদা বেগম। কোমরের কাছে জোড়া লাগানো শিশু দুটির স্পাইনাল কর্ড, মেরুদণ্ড, পায়খানা ও প্রসাবের রাস্তা ছিল একটিই। তবে মাথা ও হাত-পা ছিল আলাদা। গত বছরের অক্টোবরে ঢামেক হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাদের পায়ুপথ আলাদা করা হয়।

এরপর গত ১ আগস্ট বেশ কয়েকটি জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাদের শরীরও পৃথক করা হয়। জন্মের পর থেকে তাদের বিশেষ পর্যবেক্ষণে রেখে ১৬ সার্জন মিলে পুরো চিকিৎসা সম্পন্ন করেন।

বাংলাদেশে এমন অস্ত্রোপচার এটিই প্রথম।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, ১০ সেপ্টেম্বর  ২০১৭

লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/কেএসপি