\’কাউন্সিলর খোরশেদ যে বিয়ে করেছে এটা ডকুমেন্ট দিয়ে প্রমাণ করবো\’

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ সম্প্রতি জানান, তাকে এক নারী অপহরণ করে বিয়ের চেষ্টা করেছে। তবে অভিযুক্ত সায়েদা শিউলি নামের ওই নারী জানিয়েছেন, বিয়ের বিষয়টি এক হাজার ভাগ সত্য। কাউন্সিলর খোরশেদ কাকে বিয়ে করেছেন তিনি দেশে এসে প্রমাণ করবেন।

গতকাল রবিবার ফেসবুক লাইভে আসেন সায়েদা শিউলি। তিনি বলেন, আমাকে কয়েকটা দিন সময় দিন। কাউন্সিলর খোরশেদ যে বিয়ে করেছে এটা ডকুমেন্ট দিয়ে প্রমাণ করবো।

সায়েদা শিউলি দাবি করেছেন, বর্তমানে তিনি ব্যবসায়িক কাজে দেশের বাইরে আছেন। কাউন্সিলর খোরশেদ ও তার স্ত্রী তাকে নানাভাবে হয়রানি করছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। এসময় তিনি তার সন্তানদের নিরাপত্তা কামনা করেন।

সায়েদা শিউলির বক্তব্য, আমি একজন নারী। আর তিনি অনেক প্রভাবশালী কাউন্সিলর। সারা দেশে তাকে করোনা হিরো নামে চেনে। তার বাড়িতে কাজি নিয়ে আমি বিয়ে করতে গেছি, এটা কীভাবে সম্ভব।

এর আগে ফেসবুক লাইভে কাউন্সিলর খোরশেদ দাবি করেন, ওই নারী তাকে বিয়ে করার জন্য গাড়িতে করে কাজী নিয়ে তার বাসায় এসেছিলেন। তবে এসব কোনোভাবেই সম্ভব নয় বলে তাকে বোঝানো হয়। এর পরও তিনি উচ্চপদস্থ বিভিন্ন ব্যক্তির নাম ব্যবহার করে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি এও হুমকি দিয়েছেন যে, পাসপোর্টে খোরশেদের নাম স্বামী হিসেবে ব্যবহার করবেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে মেসেঞ্জারের স্ক্রিনশট মানুষকে দেখিয়ে বিভিন্ন রকম দাবি করতে থাকেন তিনি।

ওই নারীর পরিচয় দিতে গিয়ে খোরশেদ বলেন, তার নাম সাইদা আক্তার। এরই মধ্যে তার তিনটি বিয়ে হয়েছে। তিনি ব্যবসায়ী। তার দুই ছেলেমেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। এক মেয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ে। বিভিন্ন উচ্চপদস্থ লোকের সঙ্গে তার পরিচয় আছে।

তিনি নিজেকে বিসিএস ক্যাডার পরিচয় দিয়ে মানুষকে জিম্মি করেন। মানুষের সঙ্গে ভালো ভালো কথা বলে বিভিন্ন স্ক্রিনশটকে কেন্দ্র করে তাদের ব্যবহার করার চেষ্টা করেন।

শনিবার রাতে সস্ত্রীক নিজের ফেসবুকে লাইভে এসে এমনটিই দাবি করেছেন খোরশেদ ও তার স্ত্রী। এ সময় আবেগাপ্লুত হয়ে খোরশেদ কয়েক দফা ডুকরে কেঁদে ওঠেন এবং প্রশাসন ও রাষ্ট্রের কাছে পরিবারের নিরাপত্তা দাবি করেছেন।

Scroll to Top